সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শাসকদলের দুই মুখপত্রের বিরূপ মন্তব্যে আরব দেশগুলি ভারতের প্রতি প্রচণ্ড রুষ্ট৷ আরব দেশগুলির ক্ষোভ প্রশমন করতে কেন্দ্রীয় সরকার মাঠে নেমেছে যদিও অনেকটা সময় পার করে মন্তব্যের সাতদিন পরে৷ আরব দেশগুলির চাপে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে দল থেকে সাসপেণ্ড ও নবীন কুমার জিন্দেলকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়৷ তবে শাসকদলের এই পদক্ষেপ আরব দেশগুলিকে শান্ত করতে পারেনি৷ দেশের বিরোধী দলগুলিও একে লোক দেখানো বলে মনে করছে৷ বিরোধী নেতাদের বক্তব্য এই ধরনের ধর্র্মন্ধ বক্তব্য বিজেপি নেতাদের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ প্রসুত মনোভাবের ফল৷
বিজেপির দুই নেতা-নেত্রীর বিরূপ মন্তব্যের প্রভাব আরব দেশগুলির সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্কে পড়ছে৷ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকে আর্থিক সঙ্কটও দেখা দিতে পারে৷ ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থাকা দেশগুলিতেও ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে৷ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে৷ যার প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়বে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন৷
প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন---প্রাচীন ভারতের আধ্যাত্মিক আদর্শ ও ঐতিহ্য ভুলে ভাবজড়তা সর্বস্ব ধর্মমতকে বড় করতে গিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন দেশনেতারা দেশের অভ্যন্তরে যেমন অস্থিরতা সৃষ্টি করছে বর্হিবিশ্বেও ভারতের সম্মান হানি করছে৷ শ্রী খাঁ বলেন ধর্মীয় মতবাদের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসই সমাজের সব থেকে বেশী ক্ষতি করেছে৷ ধর্মীয় মতবাদের নামে হানাহানিই সবথেকে বেশী রক্ত ঝরিয়েছে৷ মানুষকে বুদ্ধি ভ্রষ্ট করে গোষ্ঠীবদ্ধ জীবে পরিণত করেছে৷ আজ মানুষে মানুষে এই বিভেদ বিদ্বেষ হানাহানি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন৷ যারা সমাজে এই ধরনের বিদ্বেষের বীজবপন করছে তারা কেউ উন্নত আদর্শ পরায়ন মানুষ নয়৷ ক্ষুদ্র স্বার্থের লোভে দলপাকিয়ে গোষ্ঠী বানিয়ে মানুষে মানুষে হানাহানি বাধানোই এদের কাজ৷ প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---রিলিজিয়ান জিনিসটাই ভূয়ো, রিলিজিয়ান জিনিসটাই চোরাবালির ওপর প্রতিষ্ঠিত৷ স্পিরিচুয়ালিটি আর রিলিজিয়ান এক জিনিস নয়৷’
শ্রী খাঁ স্পষ্ট ভাষায় বলেন---যে মতবাদ বা চিন্তাধারা মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে তা মানুষের সার্বিক কল্যাণ করতে পারে না৷ এই ধরনের বিভেদসৃষ্টিকারী মতবাদ মানুষের সার্বিক কল্যাণ করতে পারে না, মানব সমাজের প্রগতির অন্তরায়৷ প্রাউট প্রবক্তা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন মানুষের সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷ কোন শক্তিই একে বিভাজন করতে পারে না৷