শিলচরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী পান্নালাল রায়ের পিতা ব্রজগোপাল রায় গত ৬ই অক্টোবর পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বৎসর৷ বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়৷
গত ১৮ই অক্টোবর শ্রী রায়ের শিলচরের বাসভবনে ‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’ বিধি অনুযায়ী ব্রজগোপাল রায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ শিলচর শহরের মার্গী ভাই-বোন, আত্মীয়-পরিজন ও বহু বিশিষ্ট মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷
আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্রে সমস্ত প্রকার সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনায় নারী পুরুষের সমানাধিকার ৷ ওইদিন শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পরিচালনা করেন আনন্দমার্গের নারীকল্যাণ বিভাগের শিলচর ডায়োসিস সচিব অবধূতিকা আনন্দ অরুন্ধুতি আচার্য৷ আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্র ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বিষয়ের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত---তিনি বলেন--- বর্তমান সমাজ শাস্ত্র জগদ্দল পাথরের মতো মানুষের বুকে চেপে বসেছে৷ আঁতুর ঘর থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত শোষণের ব্যবস্থা করা আছে৷ তাই আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবক্তা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রচলিত সমাজ শাস্ত্রের সমস্ত প্রকার ভাবজড়তা কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে দুরে সরিয়ে মানুষের প্রয়োজনের কথা ভেবে সকল মানুষের গ্রহণযোগ্য করে নোতুন সমাজশাস্ত্র দিলেন---‘আনন্দমার্গে চর্র্যচর্য’৷ সবশেষে পান্নালাল রায়ের সতীর্থ শিলচর শহরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সাধন পুরকায়স্তের স্মৃতিচারণায় ব্রজগোপাল রায়ের কর্মজীবনের নানাদিক ফুটে ওঠে৷