গত ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৪২-এর ভারত ছাড় আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেন৷ ভারতবর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামে ৪২এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে৷ মাতঙ্গিনী হাজরা তমলুকের বাসিন্দা ও সেই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অন্যতম স্রষ্টা৷ মাতঙ্গিনী হাজরা একমাত্র মহিলা যিনি ভারতের জাতীয় পতাকা হাতে ব্রিটিশ পুলিশের হুমকি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন৷ প্রধানমন্ত্রী এদিন লালকেল্লার ভাষণে মাতঙ্গিনী হাজরাকে অসমের বাসিন্দা বলায় ক্ষুদ্ধ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটন ও বাঙালী সমাজ৷
বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন--- বাঙলার বীর শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার নাম ও স্বাধীনতা সংগ্রামে তমলুকের অবদান বাঙলার একজন সাধারণ চাওয়ালাও জানেন, কিন্তু ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী জানেন না এটা বিশ্বাস হচ্ছে না৷ তপোময় বিশ্বাস বলেন--- প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বভাব সিদ্ধ বাঙালী বিদ্বেষ থেকে এই কথা বলেন৷ তপোময়ের দাবী যদি প্রধানমন্ত্রী অজ্ঞতার কারণে এই কথা বলে থাকেন তবে তিনি অবিলম্বে ভূল স্বীকার করে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিক৷ নতুবা ইতিহাস বিকৃত করার অপরাধে অপরাধী সাববস্ত করবে প্রধানমন্ত্রীকে বাঙালী ছাত্রযুবসমাজ৷ বিজেপি নেতারা এই ধরনের বিকৃত ইতিহাস বলেই থাকেন৷