টনসিলের ব্যাধিতে মধু
টনসিলের ব্যাধিতে মধু উপকারী৷ মিষ্টি আপেলের রসের সাথে ২/৩ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে বারে বারে (৪/৫ বার) সেবন করলে টনসিলের ব্যথা হ্রাস পায় আর তার স্ফীত আকারও কমে ছোট হয়ে আসে৷
পেট গরম হলে, মল পরিষ্কার না হলে অনেক সময় মুখে জিহ্বায় অনেকের ঘা হয়৷ মধু খেলে শরীরের স্বাভাবিকতা ফিরে আসে আর মুখের ঘা ঠিক হয়ে যায়৷
মস্তিষ্কের দুর্ব্বলতা রোগেও মধু বিশেষ উপকারী৷ ডাক্তাররা দেখেছেন এ ধরণের রোগীরা স্নায়বিক ক্লান্তি বোধ করেন, তাদের চিন্তা শক্তি দুর্ব্বল হয়ে পড়ে, মনঃ সংযোগ করতে তারা অক্ষম হয়, সব সময়ে একটা অসন্তুষ্টি ভাব তাদের মধ্যে জমে থাকে, হতাশা ও অনাবশ্যক দুশ্চিন্তায় মন বিষণ্ণ ও ভারাক্রান্ত থাকে৷ বেদানার রসের সাথে মধু মিশিয়ে আর বাদাম পিশে জলের সাথে ঘোলের মত করে খেলে অল্প দিনের মধ্যে রোগী স্বাভাবিক হয়ে ওঠে আর তার স্মরণ শক্তিও বৃদ্ধি পায়৷
কোষ্ঠ কাঠিন্য রোগেও মধুর উপকারিতা যথেষ্ট৷ কমলা নেবুর রস ও মধু কিম্বা টমেটো রসের সাথে ৩ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়ে যায়৷
যাঁরা নির্জলা উপবাস করেন, তাঁরা উপবাস ব্রত ভঙ্গ করার জন্যে লবণ জল সহ নেবুর রস পান করার সময় যদি ২/৩ চামচ মধু পান করেন তবে শরীরে দ্রুত বল ফিরে পাবেন৷
আন্ত্রিক নিরাময়ে মধু
আন্ত্রিক ক্ষত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ওপরে মধু প্রয়োগ করে খুবই ভাল ফল পাওয়া গেছে৷ ক্ষতস্থানের মিউকাসগুলি দূর করে দ্রুত ক্ষতগুলি শুকিয়ে উঠতে মধু সাহায্য করে আর সর্ব দৈহিক দুর্বলতা দূর করে দেহ যন্ত্রগুলিকে উজ্জীবিত করে তোলে৷ তবে যারা আন্ত্রিক ক্ষত রোগে ভুগছেন তারা দুপুরে খাবার গ্রহণের অন্ততঃ দেড় বা দুই ঘন্টা আগে সকালে জলপান করার অন্ততঃ এক ঘন্টা আগে আর রাত্রের খাবার খেয়ে নেবার তিন ঘন্টা পরে মধু গ্রহণ করবেন৷ মধু ইষদোঞ্চ জল মিশিয়ে গ্রহণ করতে হবে৷ তাতে পাকস্থলীর ক্ষতস্থানের মিউকাস তাড়াতাড়ি দূর হয়৷ এ্যাসিডিটির তীব্রতা হ্রাস করে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে আর বৃহদন্ত্র, ক্ষুদ্রান্ত্রের কার্য্য শক্তিকে প্রাণবন্ত করে তোলে৷
বিজ্ঞানিরা এগ্রোমনী গাছের পাতার সাথে মধু মিশিয়ে নানা দুরারোগ্য ব্যাধি দূর করেছেন৷ মধু বহু গুণে গুণাম্বিত দ্রব্য, এগ্রোমনির রস ও মধু মিশিয়ে খেলে জটিল অজীর্ণ রোগ ও বুক জ্বালা দূর হয়ে যায়, লিবারের দোষ–ত্রুটি স্বাভাবিক করে তোলে, বৃহদন্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের দুর্বলতা দূর করে, ক্যান্সার যুক্ত টিউমারের বৃদ্ধি রোধেও সহায়তা করে৷
- Log in to post comments