মেঘালয়ে বাঙালী হত্যায় জড়িত খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়নকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানাল ক্ষুব্ধ আমরা বাঙালী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মেঘালয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নামে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়ন৷ গত ২৭শে মার্চ ইছামতী অঞ্চলে খাসি স্টুডেন্টস ইয়ূনিয়ন সিএএ বিরোধী এক মিছিল বার করে, তারপরেই সেখানে তিনজন খুন হয়৷ আমরা বাঙালী সংঘটন এই হত্যাকাণ্ড ও মেঘালয়ে ধারাবাহিকভাবে নির্যাতনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে বলা হয় মেঘালয়ের উন্নয়ন ও বিকাশে বাঙালী জনগোষ্ঠীর অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না৷ স্বাধীনতার পূর্বে তৎকালীন অসমের ও বর্তমান মেঘালয়ের শিলং, জোয়াই, লাড্রিমবাই সব বিভিন্ন অঞ্চলের বাঙালীরাই ছিলেন আদি বাসিন্দা৷ কিন্তু ওইসব অঞ্চলেও খাসি ছাত্র সংস্থার নেতৃত্বে বাঙালীদের ওপর মর্মান্তিক অত্যাচার করা হচ্ছে৷

এই অত্যাচারের ঘটনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিরব ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন ‘আমরা বাঙালী’৷ সংঘটনের অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ এক বার্র্তয় জানান--- ২০২০ সাল থেকে এই খাসি ছাত্র সংস্থা মেঘালয়ে বাঙালী জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন করছে ও নানাভাবে হেনস্থা করছে৷ ১৯৭২ সালে অসম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মেঘালয়ে ঘটনের পর থেকেই এই অত্যাচার শুরু হয়েছে৷ ইষ্ট খাসি হিলসে বিভিন্ন অঞ্চলে বাঙালী জনগণের ওপর অত্যাচারে স্থানীয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে শ্রীপুরকায়স্থ দাবী করেন৷ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন এর পরিণতি মণিপুরের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে৷

তিনি জানান---তথাগত রায় রাজ্যপাল থাকার সময় মেঘালয়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘটনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু সরকার সেকথায় কান দেয়নি৷ তাই আজ মেঘালয়ে এই অবস্থা৷ সংঘটনের পক্ষ থেকে বলা হয় এন.আর.সি সিএএ প্রভৃতি ইস্যুতে বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে বাঙালীদের ওপর অত্যাচার করা হয়৷ এখন সিএএ বিরোধী আন্দোলনেও অ-খাসিদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে৷ আমরা বাঙালী জোরের সঙ্গে দাবী করেন---অবিলম্বে কঠোর ভাবে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করতে হবে ও খাসি স্টুডেন্ট ইয়ূনিয়নকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে৷

কলকাতায় মেঘালয়ে ভবনে আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ ঃ ২রা এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার বিকেল তিনটার সময় কলিকাতাস্থিত ‘মেঘালয় ভবন’ এ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের পক্ষ থেকে গত ২৭শে মার্চ ‘খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের’ সিএএ বিরোধী মিছিলের পর মেঘালয়ের ইছামতীতে বাঙালী যুবককে খুনের ঘটনার ও মেঘালয়ের বিভিন্ন স্থানে বাঙালীদের উপর ধারাবাহিক ভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন, বাঙালী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, অগ্ণিসংযোগ,মহিলাদের সম্মানহানি ইত্যাদির প্রতিবাদে মেঘালয়ের রাজ্যপাল মহোদয়ের উদ্দেশ্যে কলিকাতার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ও ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব, জ্যোতিবিকাশ সিনহা, সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ প্রমুখ ৷ এই কর্মসূচিতে কলিকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ও দক্ষিণ চবিবশ পরগনার কর্মীগণ তথা নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন৷ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ---কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ৷ তিনি বলেন মানুষের পরমলক্ষ্য পরমপুরুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়া৷ সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রধান উপায় হল ধ্যান তথা যোগ সাধনা৷ সেই সঙ্গে আনন্দমার্গ দর্শনে জ্ঞান ও কর্মকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ যদিও পরমপুরুষকে পেতে ভক্তিই সর্বশ্রেষ্ঠ পথ৷