মেঘালয়ে বাঙালী নির্যাতন---দার্জিলিঙে গোর্খাল্যাণ্ড বৃহত্তর আন্দোলনের পথে ‘আমরা বাঙালী’

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

মেঘালয়ে বাঙালীর ওপর নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে৷ দৈহিক নির্র্যতন দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এবার ভাতে মারা শুরু হয়েছে৷ বাঙালীদের উপার্জনের পথও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায় জানান---মেঘালয়ের ইচ্ছামতি ও ভোলাগঞ্জ এলাকায় বাঙালীদের দোকান বাজার খুলতে দেওয়া হচ্ছে না৷  বাঙালীদের ট্রাকে মাল তুলতে দেওয়া হচ্ছে না৷ আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় সচিবের অভিযোগ বিগত কয়েক মাস ধরে মেঘালয়ে বাঙালীদের ওপর অমানবিক নিপীড়ণ, নির্যাতন চলছে, নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে৷ মেঘালয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না৷ কেন্দ্রও সাক্ষীগোপাল হয়ে বসে আছে৷

গত ৩রা অক্টোবর রুবি মোড় থেকে ‘আমরা বাঙালী’রএকটি মিছিল মেঘালয় ভবনে পৌঁছায়, সেখানে স্মারকলিপি দিয়ে মেঘালয়ের রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয় অবিলম্বে বাঙালীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ও তাদের জীবন ও জীবিকায় যেন কোনরকম ব্যাঘাত না ঘটে তার ব্যবস্থা নিতে৷ স্মারকলিপি দিতে যান  কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়, বাঙালী মহিলা সমাজের সচিব নমিতা দেবী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

পরে মেঘালয় ভবনের সামনে একটি সভায় ‘আমরা বাঙালী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন৷ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়, বাঙালী যুব সমাজের  সচিব তপোময় বিশ্বাস, শুভজিৎ পাল ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷ তপোময় বিশ্বাস বলেন--- অবিলম্বে অসম, মেঘালয় বাঙালীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হলে উত্তর পূর্র্বঞ্চলের প্রবেশ দ্বার  বন্ধ করে দেওয়া হবে৷

আমরা বাঙালী অসম রাজ্য কমিটির সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একপত্রে আবেদন করেছেন অবিলম্বে মেঘালয়ের ইছামতি, ভোলাগঞ্জের বাঙালীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করে তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে৷ বিগত কয়েক মাস ধরে ওই এলাকায় বাঙালীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চলছে৷ অথচ মেঘালয়ে সরকার নীরব দর্শক হয়ে বসে আছেন৷  তিনি প্রশ্ন করেন মেঘালয় ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য না-কি সেখানে বিদেশী শাসন চলছে? সাধন পুরকায়স্ত ওই পত্রের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন--- আশা করি, আপনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন যাতে পরস্পরের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষভাব দুর হয়ে যায় ও উভয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৌভাতৃত্বের পরিবেশ গড়ে ওঠে৷

আগরতলায় ‘আমরা বাঙালী’রাজ্য কমিটির নেতৃবৃন্দ কয়েকশো প্রতিবাদী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মেঘালয় বাঙালী নির্যাতনের প্রতিবাদে একটি মিছিল বার করে৷ মিছিল শিবনগর হয়ে কামান চৌমুনী পৌঁছালে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে৷ ওখানেই ‘আমরা বাঙালী’ নেতৃবৃন্দ সভা শুরু করেন৷ বক্তব্য রাখেন রাজ্যসচিব গৌরাঙ্গরুদ্র পাল, কেশব মজুমদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ তাঁরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন বিজেপি শাসনে রাজ্যে রাজ্যে বাঙালী নির্যাতন বাড়ছে৷ এর পরিণতি ভালো হবে না৷ অবিলম্বে বাঙালী নির্যাতন বন্ধ না হলে বাঙলায় আবার অগ্ণিযুগ ফিরে আসবে৷

এদিকে দিল্লীতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের নামে মূলত রাষ্ট্রদোহী গুরুং পন্থিদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র দপ্তর বৈঠক করে৷ বার বার বিজ্ঞাপ্তি পাল্টে জিটিএ বিষয়ে বৈঠকের কথা বললেও, গুরুং পন্থিরা জিটিএ-কে আমল দেয়নি৷ বৈঠকে গোর্খাল্যাণ্ডের দাবী তোলে৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি৷ তিনি গুরুং পন্থিদের দাবী খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন৷