উচ্চ প্রযুক্তির এক ঝাঁক টেলিস্কোপের সাহায্যে মহাকাশ পর্যবেক্ষণে চালকের আসনে বসতে চলেছে ভারত৷ ‘বিগব্যাং থেকে ক্রেনিয়াস গ্রহের অ্যাং’---মহাজাগতিক সমস্ত রহস্যই এবার ভারতের কাছে উন্মোচিত হতে চলেছে৷ এই কার্যে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ‘আর্যভট্ট’ রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব অবজার্ভেশনাল সায়েন্সেস (এরিস), এর অধিকর্র্ত এক বাঙালী জ্যোতির্বিজ্ঞানী ডঃ দীপঙ্কর বন্দোপাধ্যায়৷ এই প্রকল্পে সে সমস্ত টেলিস্কোপগুলি বসানো হচ্ছে সেগুলি এক নৈনিতালে এরিসের অবজার ভেটরিতে বসানো হচ্ছে চার মিটার ব্যাস বিশিষ্ট লিক্যুইড মিরর টেলিস্কোপ৷ এর বৈশিষ্ট্য হল রিফ্লেক্টর হিসাবে কাজ করবে পারদ৷ এই তরল ধাতু ব্যবহারে টেলিস্কোপের ভার ও খরচ দুইই কমবে৷ আর ভাল ছবি পাওয়া যাবে৷ দুই---রাজস্থানের মাউন্ট আবুতে বসানো হচ্ছে ১০ মিটার ব্যাসার্ধের অ্যাডাপটিভ আপটিক্স প্রযুক্তি সম্পন্ন টেলিস্কোপ৷ তিন---আমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি ২.৫ মিটার ব্যাসার্ধের অ্যাপারচারযুক্ত একটি স্বয়ংক্রিয় টেলিস্কোপ বসাচ্ছে মাউন্ট আবুতেই৷ এছাড়া টেলিস্কোপ নিয়ে ভারতের উচ্চাকাঙ্খী প্রকল্প রূপ পেতে চলেছে হাওয়াই দীপপুঞ্জে৷ সেখানকার আগ্ণেয় পর্বতের মাথায় বসতে চলেছে ৩০ মিটার ব্যাসার্ধের টেলিস্কোপ৷ ভারতের ১০ শতাংশ অংশীদারী রয়েছে এই প্রকল্পে৷ এর ফলে তারার জন্ম, মৃত্যু, ব্ল্যাকহোল, তেজস্ক্রিয়, আলো, মহাকাশে ঘুরতে থাকা, নিস্ক্রিয় বা ধবংস প্রাপ্ত সাটেলাইটের জঞ্জাল প্রভৃতি পর্যবেক্ষণ করা যাবে৷
সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়