২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনে বলা হয়েছে যে, রাজ্যের প্রতিটি সরকারী ও সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলিতে প্রথমশ্রেণী থেকে অষ্টমশ্রেণী পর্য্যন্ত মিড্ ডে মিল প্রকল্পে শিশুদের সপ্তাহে কি কি খাওয়ানো হবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ সরকারী নির্র্দেশে বলা হয়েছে যে,সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে তাদের খাওয়ানোর তালিকায় রয়েছে ভাত, ডাল, তরকারী, মাংস, ডিম ও খিচুড়ি৷
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে, বহু জায়গায় অনেক স্কুলে ওই তালিকা মাফিক খাবার দেওয়া তো দূরের কথা, সেখানে সামান্য ডাল আলুও জোটে না৷
অভিযোগ উঠেছে প্রকাশ-রান্নাঘরের অপরিচ্ছন্নতা, নিম্নমানের খাবার ও রান্নার আগে ও পরে রান্নাঘর পরিষ্কার হচ্ছেনা৷ কোথাও কোথাও রান্নার কাজে পরিশ্রুত জলে রান্নার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও অপরিচ্ছন্ন জলাধার থেকে রান্না করা হয়৷
সরকারী স্কুলে পৃথক খাওয়ার ঘর ও টেবিল তৈরীর জন্য টাকা দেওয়া সত্ত্বেও স্কুলগুলির করুণ দশা!
মিড ডে মিলে প্রতিদিনের হিসেব স্কুল শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার নীতি চালু থাকা সত্ত্বেও সর্বত্র এই নিয়ম মানা হচ্ছে না৷ দুর্নীতির জন্যে কোথাও কোথাও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও সব থেকে বড় কথা টাকা ও খাবারের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা প্রায় কোথাও মানা হচ্ছে না৷