মিজোরামে কেন্দ্রীয় শাসনের দাবী ‘আমরা বাঙালী’র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শিলচর ঃ গত ২৬শে জুলাই অসমের মিজোরাম লায়লাপুরে মিজোরামের সরকারী মদতপুষ্ট ইয়ং মিজো এসোসিয়েশন, মিজো জিরলাই পল ও মিজোরামের পুলিশ সন্মেলিতভাবে অসম পুলিশ ও সাধারণ নাগরিকের উপর গুলিবর্ষণের তীব্র ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাল ‘‘আমরা বাঙালী’’ দল৷

‘‘আমরা বাঙালী’’র মতে উপরিউক্ত নারকীয় ঘটনায় মধ্যে দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম ভারতবর্ষের প্রতি একটি হুমকি দেওয়া৷ দলের অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন, যে আক্রমণে কাছাড়ের পুলিশ সুপার সহ ৭০ জন পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়ে  মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন৷  ৬ জন অসম পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়ে শহীদ হয়েছেন৷ আমরা দেশের অখণ্ড সত্ত্বা যারা ধ্বংস করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ২০২০ সাল  থেকে বলে আসছি৷ চলতি মাসের ১২ তারিখে এক বিবৃতিতে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবী জানিয়েছি৷ বিগত একবছর যাবৎ অসমের বরাক উপতক্যার জমি মিজোরা যেভাবে সরকারী মদতে দখল করছে, সীমান্তে মিজো পুলিশ সামরিক বাঙ্কার  তৈরী করে যুদ্ধের পরিবেশ তৈরী করেছে৷ সীমান্তে ঘন ঘন বোমা বর্ষণ করে আতঙ্ক তৈরী করে  সীমান্তবাসীকে উৎখাত করেছে৷ দুইটি স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে৷ ইন্তাজআলী নামক যুবককে সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে খুন করেছে৷ অসমের সীমানায় রাস্তা তৈরী করছে৷ অসমের সীমানায় বনবিভাগ থেকে শুরু থেকে প্রশাসনির আধিকারিকদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে না৷ এই পরিস্থিতির ব্যাপারে অসম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি৷ প্রশাসনিক স্তরে দিল্লীতে সীমা বিবাদ নিয়ে মিজোরামের  মুখ্যসচিবকে ডেকে নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু থেকে কিছুই বাকী থাকেনি, কিন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি৷ তার কারণ মিজোরামে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে৷ সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা বলতে মিজোরাম সরকারের কিছুই নেই৷ ইয়ং মিজো এসোসিয়েশন ও মিজো জিরলাইপল সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে৷ সরকার ভারতবর্ষ ও ভারতীয় বিদ্বেষী উগ্র মিজো জাতীয়তাবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে ‘‘আমরা বাঙালী’’ দল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবী রাখছে অবিলম্বে দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার স্বার্থে মিজোরামের শাসনভার কেন্দ্রের হাতে তুলে নেওয়া হোক৷ সার্ভে অব ইন্ডিয়ার নির্দ্ধারন করা অসম-মিজোরামের সীমান্তে সামরিক বাহিনীকে দিয়ে সীমার সুরক্ষা দেওয়া, গত ২৬ জুলাইয়ের  লায়লাপুরে গুলিবর্ষণে  নিহত পুলিশ কর্মীদের শহীদ হিসেবে ঘোষনা করা, শহীদ পরিবারদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পরিবারের একজনকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরী দেওয়া, আহতদের সরকারীভাবে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা৷

অবিলম্বে যদি মিজো দুষৃকতীদের দমন করার পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় ‘‘আমরা বাঙালী’’ বৃহৎ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের নামবে বলে হুমকিও দিয়েছেন তিনি৷ সেইসঙ্গে ‘‘আমরা বাঙালী’’ দল  আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা ও নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে৷