বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার যুগে মোবাইল ফোন হচ্ছে মানুষের যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম৷ এটি ছাড়া মানুষ এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারে না৷ চাকুরীজীবী, ডাক্তার ও অন্যান্য পেশাজীবীর পাশাপাশি স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরাও মোবাইল ফোনের একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু প্রতিটি বিজ্ঞানের আবিষ্কারের যেমন সুফল রয়েছে তেমনি এর কুফল বা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করে বিড়ম্বিত৷ মোবাইল ফোনও বিজ্ঞানের তেমনি একটি উন্নত প্রযুক্তি, যার ভাল খারাপ দুটি দিকই রয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখেছেন এর থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয় তার জন্যে শরীরে অনেক রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ মোবাইলের ক্ষতিকারক দিকগুলো কি কি?
প্ত মোবাইল ফোনে একাধারে ২ থেকে ৩ মিনিট কথা বললে মানুষের মস্তিষ্কে রক্ত ও প্রোটিনের যে প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে তাতে ছিদ্র দেখা দিতে পারে, যার ফলে অ্যালজাইমার, পারকিসনসের মত অসুখের সম্ভাবনা বাড়তে পারে৷ প্ত মোবাইল থেকে সব সময় যে হালকা রেডিয়েশন বের হচ্ছে তাতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে৷ এর ফলে হার্ট সংক্রান্ত নানা রোগ ও কিডনীতে পাথর হতে পারে৷ প্ত সারাক্ষণ মোবাইলে কথা বললে ব্রেনটিউমার হবার সম্ভাবনা থাকে৷ প্ত সমীক্ষা করে দেখা গেছে যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের মধ্যে হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী৷ প্ত বেশীক্ষণ মোবাইলে কথা বললে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ও মাথা ঝিমঝিম করতে পারে৷ প্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায়৷ প্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের স্মৃতিশক্তি আস্তে আস্তে লোপ পায়৷ স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়ার কারণ মোবাইল থেকে যে রেডিয়েশন বের হয়, তাকে ব্রেনের যে অংশে স্মৃতিশক্তি সঞ্চিত থাকে তার ক্ষতি হয়৷ প্ত যখন কেউ অনেকক্ষণ মোবাইলে কথা বলে তখন তার হাত ও কান দুটো পেশীর উপরই খুব চাপ পড়ে৷ অনেক অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনে আমাদের কম বেশী মোবাইল ব্যবহার করতেই হয়৷ তাই শুধুমাত্র প্রয়োজনের কারণেই মোবাইল ব্যবহার করুন, গল্প করার জন্যে নয়৷ –সূত্র–ইন্টারনেট