মোদির পঙ্গুত্বের নীতি মেনে তোষণের বাজেট

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারে থাকা কালিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলতেন-জোট রাজনীতি সরকার কে পঙ্গু করে৷ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে একক গরিষ্ঠতা হারিয়ে মোদি পঙ্গু জোট সরকার গড়তে বাধ্য হয়েছেন৷ সেই পঙ্গুত্বের নীতি মেনেই শরিক তুষ্টির বাজেট করতে বাধ্য হলেন নির্মলা সীতারমন৷ ২৩শে জুলাই অর্থমন্ত্রী যে বাজেট সংসদে পেশ করলেন তাতে প্রধানমন্ত্রীর ‘সব কা সাথ সব কা বিকাশ’ শ্লোগান উধাও৷ বরং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী নেতার স্লোগান ‘জিস্‌কা সাথ উনকা বিকাশ’ স্লোগানকে গুরুত্ব দিয়ে শরিক তুষ্টির বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী৷ বেকারত্ব দূরীকরণ, আর্থিক বৈষম্য কমানোর কোন দিশা বাজেটে নেই৷ আয় করে সামান্য ছাড় যার সঙ্গেও গরিব মধ্যবিত্তের কোন যোগ নেই৷ করের হার অপরিবর্তিত রেখে দুটি ধাপে করের সীমা বাড়িয়েছেন৷ ৩ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক আয় আগেও কর দিতে হতো না এখনও তাই৷ ৩ লক্ষের বেশী থেকে ৬ লক্ষ পর্যন্ত ৫ শতাংশ হারের করের স্তর ৬ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে সাত লক্ষ করা হয়েছে৷ ১০ শতাংশ হারের আগের স্তর ৬ লক্ষের বেশী থেকে ৯ লক্ষ পর্যন্ত বর্তমানে ৭ লক্ষের বেশী থেকে ১০ লক্ষ পর্যন্ত৷ ১৫ শতাংশ করের ৯ লক্ষের বেশী থেকে ১২লক্ষ আগের স্তর বর্তমানে ১০ লক্ষের বেশী থেকে ১২লক্ষ পর্যন্ত৷ পরবর্তী স্তর অপরিবর্তিত৷ এই চিত্র থেকে স্পষ্ট আয় করের সুরাহা সকল করদাতা পাচ্ছেন না৷

বিজেপি সরকার বিহার অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁধে ভর দিয়ে চলছে৷ তাই নির্মলা সীতারমনের বাজেটে বিহার অন্ধ্রপ্রদেশকে দরাজ হস্তে আর্থিক সাহায্য ঘোষনা করেছেন৷ অপর দিকে বাঙলার কাছে এই বাজেট প্রতিহিংসার বাজেট৷ ২০২১শে বিধানসভা ও ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে প্রত্যাশার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি৷ তাই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে বাঙলার প্রতি বঞ্চনা এই বাজেটেও অব্যাহত৷ অর্থমন্ত্রী হুমকির সুরে সংসদে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবী জানায়৷