পাশাপাশি শায়িত দুটি শবদেহ৷ শেষকৃত্যের সব আয়োজন প্রায় শেষ৷ হঠাৎ বিবেক দংশনে (?) জেগে উঠলেন শবদেহ দুটির পরিবারের লোকজন৷ যে বিয়েতে কিছুতেই রাজী হচ্ছিলেন না দুই পরিবারের অভিভাবকরা, তারাই বিয়ের আয়োজন শুরু করলেন প্রাণহীন দুটি দেহের৷ মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের ওয়াড গ্রামের বাসিন্দা মুকেশ সোনাওয়ানে৷ এই গ্রামের কাকার বাড়িতে থাকতো নেহা থ্যাকারে৷ দুই তরুণ তরুণী ভালোবাসায় আবদ্ধ হয়ে বিবাহ করতে চেয়েছিল দুজনে দুজনকে৷ কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবার৷ দুজনের অপরাধ তারা একই সম্প্রদায় ও সমগোত্রীয়৷ তাই দুই পরিবারই অনড় থাকে তাদের সিদ্ধান্তে৷ কোন পথ না পেয়ে নেহা ও মুকেশ আত্মহত্যা করে৷ ময়না তদন্তের পর দুজনের শেষকৃত্যের আয়োজন চলাকালিন দুই পরিবারের পাপবোধ জেগে ওঠে৷ অবশেষে শেষকৃত্বের আগে চারহাত এক করে দেয় দুই পরিবার৷ কবরে বিবাহ বাসরে সাক্ষী থাকলেন কয়েকজন শবযাত্রী৷ তবে দুই পরিবার পাপমুক্ত হবে কিনা বা দুই তরুণ-তরুণী যে ঘৃণা আর যন্ত্রণা নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিল তার কি উপশম হবে?
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়