ম্যাচ জেতার রাউণ্ডে  কার দৌড় কত দূর!

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

ম্যাচ জেতার রাউণ্ডে কার দৌড় কত দূর এই বিষয়ে বলা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়৷ কারণ জিততে গেলে লাগে মানসিক শক্তি ও জেতার উদম্য ইচ্ছা যার দরুণ মানুষ আজ যেকোনো সফলতার শিখরে পৌঁছে যেতে পারে৷ আর এরজন্য দরকার জেতার জন্য লক্ষ্যের  পিছনে দৌড়ের৷ তাই বলতে হচ্ছে কার দৌড় কত দূর! এটাই মাপা হয় জীবনের রেষে৷ এই কথাগুলির বলার একটাই কারণ  দুইজন দুরন্ত খেলোয়াড়ের দুর্ধর্ষ খেলার পারদর্শিতা৷ প্রথম হলেন বিখ্যাত সুনামধন্য টেনিস খেলোয়াড় জেকোভিচ৷ প্রথমে তাঁর কথায় আসি তিনি ফরাসি ওপেনের ট্রফির দৌড়ে থাকা দুই তারকার মধ্যে একজন৷ আর অন্যজন হলেন রাফায়েল নাদাল৷ গত ৩০শে সেপ্ঢেম্বর মাত্র ১ঘন্টা ৪০ মিনিটে দ্বিতীয় রাউণ্ডের ম্যাচে জিতেছিলেন৷ জেকোভিচের গত ১লা অক্টোবর তৃতীয় রাউণ্ডে উঠতে লাগল মাত্র ১ঘন্টা ২৩ মিনিট৷ প্রতিপক্ষ লিথুয়ানিয়ার  রিকার্ডাস বেরানকিসকে ৬-১,৬-২,৬-২-তে হারিয়ে ফরাসি ওপেনে নিজের জীবনে ৭০তম ম্যাচ জিতলেন জেকোভিচ৷ এছাড়া ফরাসি ওপেনে গত শনিবারে কলম্বিয়ার দানিয়েল এলাহি গালান তাঁর বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে কোনমতেই দাঁড়াতে পারে নি৷ অবশেষে শেষ আটে পৌঁছে যান সার্বিয়ান মহাতারকা জেকোভিচ৷ এখন দেখার পালা শেষপর্যন্ত কি ফলাফল হয়!

এতো গেল জেকোবিচের কথা, এবার আসা যাক মহিলা খেলোয়াড় পোল্যাণ্ডের তরুণী ইগা শিয়নটেক এর প্রসঙ্গে, মাত্র ১৯ বছর বয়সি পোল্যাণ্ডের এই তরুণী মেয়েদের সিঙ্গলসে শীর্ষবাছাই করা খেলোয়াড় সিমোনা হালেপকে পরাজিত করেন৷ ইগার কাছে ১-৬,২-৬ ফলে হেরে যায় সিমোনা হালেপ৷ থেমে তার ১৭টি পরপর ম্যাচ জেতার দৌড়৷ হালেপ নিয়ে সকলে খুবই আশা করেছিলেন ও তার পূরণও হত কিন্তু হঠাৎ যদি না এই অঘটন ঘটতো৷ অর্থাৎ ইগার কাছে হালেপের পরাস্ত হওয়াটা এক অবিশ্বাস্যকর ঘটনায় পরিণত হয়েছে দর্শক মহলে৷ জেকোভিচ ও ইগার এই দৌড় তো ক্রমশ অগ্রসরের পথে এগোচ্ছে এরপর দেখার পালা আগে কার দৌড় কত দূর!