নাগপুরে শ্রাবণীপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে  আনন্দোৎস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

নাগপুর (মহারাষ্ট্র) শহরের প্রাণকেন্দ্র রিং রোড স্থিত ঐতিহাসিক  অনুসুয়া মঙ্গল  কার্যালয়ে  প্রতিবছরের  মত এবারও  ১৭,১৮,১৯ অগাষ্ট,২০১৮, শ্রাবণী পূর্ণিমা  উপলক্ষ্যে  খুব জাঁকজমকভাবে  ত্রিদিবসীয়  আনন্দোৎসব  অনুষ্ঠিত  হ’ল৷  সমগ্র  বিদর্ভ এলাকা  থেকে প্রায় পাঁচশত  ভক্ত মার্গী  এই  অনুষ্ঠানে  অংশগ্রহণ  করেছেন৷ প্রতিটি মার্গী  পরিবার তাদের সমস্ত শিশু সন্তানদের  নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অনুষ্ঠানে  যোগদান  করেছে৷ প্রতিদিন  নির্দিষ্ট  সময়সূচী অনুসারে  প্রাত্যহিক  পাঞ্চজন্য, প্রভাতফেরী,  সামূহিক  প্রভাত-সঙ্গীত, কীর্ত্তন, সাধনা  ছাড়াও অনুষ্ঠানের  অন্যতম  আকর্ষণ ছিল কৌষিকী নৃত্য, তান্ডব নৃত্য , প্রভাত-সঙ্গীত ও প্রভাতসঙ্গীত  অবলম্বনে  নৃত্য প্রতিযোগিতা বিদর্ভবাসী ছোট ছোট শিশু  ছেলে-মেয়েরা  ব্যাপকভাবে  অংশগ্রহণ করে বাংলা, ইংরেজী, সংস্কৃত, অঙ্গিকা, উর্দু ইত্যাদি ভাষায়  অত্যন্ত দক্ষতার  সঙ্গে  যেভাবে  প্রভাত-সঙ্গীত  পরিবেশন করেছে তা খুবই  প্রশংসনীয়৷  মার্গীয়  সংস্কৃতি  ও জীবনধারার সঙ্গে  পরিবারের প্রত্যেককে  একাত্ম করে তোলার এটা ছিল একটা  অভিনব প্রয়াস৷

আধ্যাত্মিক  সাধনা  তথা  সাধকজীবনে  সদ্গুরুর ভূমিকা  নিয়ে  মনোজ্ঞ আলোচনা  করেন  আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ  অবধূত ,আচার্য মহাদেবানন্দ  অবধূত  ও আচার্য কৃপাময়ানন্দ  অবধূত৷ সাংসৃকতিক সন্ধ্যায় বিভিন্ন ভাষায়  প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন  করেন মুম্বাই  রিজিয়নের   রিজিওনাল  সেক্রেটারী আচার্য  সুদত্তানন্দ  অবধূত , প্রবীণ  মার্গ-সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ সুধাকর ভাবেকর  ও জ্ঞানেশ্বর পাঞ্চালী৷ অনুষ্ঠানটির  সার্বিক  প্রযোজনা  ও পরিচালনায়  মুখ্য ভূমিকা  পালন করেন নাগপুরের বিশিষ্টমার্গী  দীপক পান্ডে মহাশয়৷ শেষ দিনে  সমবেত  ভক্তবৃন্দ  আগামী  একবছরের  আদর্শের  ব্যাপক প্রচার, সাংঘটনিক  পরিকাঠামোকে  সুদৃঢ় করা তথা  বিভিন্ন  প্রকার  সেবাকার্যের  বৈয়ষ্টিক  দায়িত্ব গ্রহণ  করে অনুষ্ঠানের  সমাপ্তি  ঘোষণা করে৷