ক্রমবর্ধমান নারী নির্র্যতনের প্রতিবাদে ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারীর স্বাধিকারের দাবীতে গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে গত ১১ই আগষ্ট মিছিল, ডিসি অফিসে স্মারকলিপি পেশ ও সাকচিতে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ ১১ই আগষ্ট দুপুর ১টায় জুবলি পার্ক থেকে গার্লস প্রাউটিষ্টের (জিপি)-এর মিছিল বেরোয় ৷ মিছিলে গার্লস প্রাউটিষ্ট দুশতাধিক কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন৷ মিছিলটি প্রথমে ডিসি অফিসে যায়৷ সেখানে ডিসির কাছে বিভিন্ন দাবী সম্বলিত স্মারকপত্র পেশ করা হয়৷ এরপর মিছিল শহরের বিভিন্ন রাস্তা পবিক্রমা করে’ সাকচি গোলপার্কে এসে পৌঁছে ও এখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ পথসভায় বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ রূপাতীতা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অদ্বৈতা আচার্র্য, অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্র্য, জেলা সচিব রেখা মাইতি, শুভ্রা মাহাতো প্রমুখ৷ পথসভায় প্রভাতসঙ্গীত গেয়ে শোনান গার্গী বিশ্বাস, আনন্দরূপাতীতা আচার্র্য ও শুভ্রা গড়াই৷
ডিসি অফিসে প্রদত্ত স্মারকপত্রে গার্লস প্রাউটিষ্টের দাবী গুলির মধ্যে ছিল-
(১) প্রতিটি নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে৷
(২) সামাজিক, অর্থনৈতিক-সাংসৃকতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে নারী জাতিকে সর্বপ্রকার শোষণ থেকে মুক্ত করতে হবে৷ আর তা নিশ্চিত করতে গার্লস প্রাউটিষ্ট মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার প্রবর্তিত প্রাউট দর্শনের প্রতিষ্ঠা চায়৷
(৩) শিক্ষার সর্র্বেচ্চ স্তর পর্যন্ত নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক ও আধ্যাত্মিকতা ভিত্তিক করতে হবে৷
(৪) প্রাথমিক শিক্ষকতার ক্ষেত্রে সর্বক্ষেত্রে মেয়েদেরই নিয়োগ করতে হবে৷
(৫) নারীদের আত্মরক্ষা ও শারীরিক , মানসিক বিকাশের জন্যে জুডো-ক্যারাটে সহ কৌষিকী নৃত্যের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে৷
(৬) অপমান জনক কন্যাদান প্রথা ও পণপ্রথা কার্যক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করতে হবে৷
(৭) সিনেমা, দূরদর্শন ও বিজ্ঞাপনে অনাবৃত নারীদেহ প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি৷
এই দাবীগুলির ওপরই পথসভাতে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য রাখেন৷ অনুষ্ঠানটির পরিচালনার মুখ্য দায়িত্বে ছিলেন অবধূতিকা আনন্দ রূপাতীতা আচার্যা৷