নববর্ষের অঙ্গীকার

লেখক
পত্রিকা প্রিতিনিধি

দানবীয় রাজনৈতিক গণতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে৷ তবেই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব৷ প্রাউট প্রবক্তার ভাষায়--- ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত করতে হবে৷’’

আজ সারা বিশ্ব পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক শোষণে জর্জরিত৷ বিশ্বের যাবতীয় ভৌতিক সম্পদের ৭০ শতাংশের বেশী মুষ্টিমেয় কিছু ধনকুবেরদের কুক্ষিগত৷ পরিণামে কোটি কোটি মানুষ অনাহারে,অর্ধাহারে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে৷ কেন্দ্রিত অর্থনীতির পক্ষে কোন অর্থনৈতিক পরিকল্পনাই সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের তথা সর্বস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত হতে পারে না৷ ধনকুবেররা কখনওই সমাজের সার্বিক কল্যাণের কথা চিন্তা করে না৷ ব্যষ্টিস্বার্থ চরিতার্থ করতেই তারা অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে ব্যবহার করে৷

অপরদিকে পুঁজিবাদ বিরোধী কমিউনিজম তথা  সাম্যবাদ ব্যষ্টিস্বার্থের বিরোধীতা করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের জন্ম দিয়েছে৷ কমিউনিষ্ট রাষ্ট্রে ব্যষ্টির পরিবর্তে দল ও রাষ্ট্রের পরিচালক পলিটব্যুরো নামক এক গোষ্ঠী যাবতীয় সম্পদ ও রাষ্ট্রশক্তি কুক্ষিগত করে রাখে৷ তাই কমিউনিজমও সর্বস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের পথ দেখাতে ব্যর্থ৷

তাই প্রাউটের বিকেন্দ্রিত গণতান্ত্রিক অর্থনৈতিক  ব্যবস্থাই একমাত্র পথ৷ প্রাউট প্রবক্তা বলেছেন---‘‘অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, শিক্ষা চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই, চিকিৎসা চাই, নিবাস চাই৷’’  মানুষের এই প্রয়োজন মেটাতেই তিনি প্রাউট দর্শন তৈরী করেছেন৷ কারণ মানুষের এই প্রাথমিক প্রয়োজনগুলোর পূর্তি না হলে সমগ্র মানবজাতির  সার্বিক উন্নতি কখনই সম্ভব নয়৷ তাই প্রাউটিষ্টদের উচিত আর দেরী না করে মানব সমাজের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে প্রাউটের বাস্তবায়নের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া৷ এটাই হোক প্রাউটিষ্টদের ২০২৪-এর নববর্ষের অঙ্গীকার৷ প্রাউট প্রবক্তা আশ্বাস দিয়েছেন --- ‘‘প্রতিটি মহৎ কাজের জন্য যারা নিয়োজিত তাঁদের জন্য আমার সমর্থন সর্বদা সঙ্গে আছে৷ মানবতার আর্থিক মুক্তির জন্যে সকলের প্রয়াস অবশ্যই সফলীভূত হবে৷’’