গত রবিবার তুরস্কে আর্টিস্টিক্স জিমন্যাসস্টিক্স ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপে ভল্টে স্বর্ণ জয় করেন এক ভারতীয় কন্যা দীপা কর্মকার৷ ২০১৬ সালের অলিম্পিক্সে তিনি তাঁর প্রিয় মরণ ভল্ট ‘প্রোদুনোভা’ দিতে পেরেছিলেন৷ দীপার এই কর্মকুশলতা তাঁর মস্তকে জয়ের শিরোপা পড়িয়েছে৷
কিন্তু এখন প্রশ্ণ হল, কিভাবে দীপা কর্মকার হয়ে ওঠা যাবে?
কঠোর পরিশ্রম, অদম্য আশা ও নিজের প্রতিভা এই তিনটি থাকলেও কিন্তু দীপা হওয়া যাবে না৷ প্রয়োজন সঠিক পরিকাঠামো আর তাঁর জন্য আর্থিক আনুকূল্য প্রয়োজন৷
নবদ্বীপের শরীরচর্চা কেন্দ্রের শিক্ষকেরা ভিনরাজ্য থেকে পুরস্কার প্রাপ্ত হলেও এই শরীরচর্চা কেন্দ্রের কর্ণধার শ্রী রতনলাল সাহা তিনি বলেছেন,অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন আরেকজন দীপা তৈরী করার জন্যে৷ কিন্তু তার জন্যে প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমান আর্থিক সাহায্য৷ আমাদের সেসব কোথায়? দীপা হয়ে ওঠা এমনভাবে সম্ভব নয়৷ গত সাত দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে এই সংস্থার অনুশীলনের জায়গায় জল জমে গেছে , ছাত্র-ছাত্রারা কোনপ্রকারে ছোবড়ার গদি পেতে যা হোক করে অনুশীলন করতে করতে দীপা হবার স্বপ্ণ দেখছেন৷
আর্থিক আনুকুল্য ছাড়া এই সংস্থা কোনদিনই কোন দীপা কর্মকারকে গড়তে পারবে না৷ বহু পুরোনো এই সংস্থাতে আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব৷ তাছাড়া প্রশিক্ষণের জন্য সকলের যে স্বচ্ছ জায়গার প্রয়োজন তারও বিপুল অভাব৷ তাছাড়া আমাদের দেশে জিমন্যাসটিক্সকে খুবই অবহেলার চোখে দেখা হয়৷ তাই প্রশ্ণ জাগবে সকলের যে দীপা যেভাবে কষ্ট করে নিজের দেশের গর্বের স্থান অধিকার করেছেন৷ তার পরবর্তী প্রজন্ম তা কি পারবে? পাবে তারা তেমন সুযোগ সুবিধা?