নিজস্ব সংবাদদাতাঅতিবৃষ্টি পেট্রোপণ্যের  লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে গৃহস্থের হেঁসেলে হাহাকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পেট্রোলজাত জ্বালানি একটি অতি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য৷ দেশের অর্থনীতির উঠা-নামার মান অনেকটাই নির্ভর করে  জ্বালানির ওপর৷ ২০১৫ সালে নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল পেট্রোলজাত জ্বালানির দাম ৫০ টাকার নীচে থাকবে৷ কেউ কেউ  প্রচারে এমনও বলেছিল--- ৩৫টাকা পেট্রোল চাও তো বিজেপিকে ভোট দাও৷ সেই পেট্রোল ডিজেল একশ’ টাকা পার করেছে৷ ৪৫০ টাকার গ্যাস হাজার টাকার কাছাকাছি চলে গেছে৷ কেন্দ্র সরকারের কোন হেল-দোল নেই৷ বরং নিয়মিত দাম বাড়িয়ে চলেছে৷

পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কংগ্রেস আমলেই শুরু হয়৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেইসময় কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করে পেট্রোপণ্যের  মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতিশ্রুতি দিতেন৷ কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আরও বে-পরোয়া হয়েছেন

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে বাড়তে থাকে বাসভাড়া পণ্য পরিবহন ভাড়া, ট্রাক ভাড়া পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য৷ এমনিতেও এবছর অতিবৃষ্টির  ফলে বাজারে শাক-সবজির আকাল৷ তারপর পেট্রোল-জাত দ্রব্যের দিন দিন মূল্যবৃদ্ধির ফলে শাক-সবজির দামও গৃহস্থের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে৷

মোদি সরকারের ভ্রান্ত অর্থনীতির জন্যে এমনিতেই দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা৷ তার ওপর সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের জন্যে যেভাবে দিন দিন পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে তাতে সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থা আরও নিম্নমুখী হবে৷ অবিলম্বে পেট্রোল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ না করলে মধ্যবিত্ত গৃহস্থের হেঁসেলে হাহাকার পড়ে যাবে৷