নীলকণ্ঠ

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

১২ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৩, এসেছিল মহাপাতকী দুরাচারী

ত্রস্ত চরণে, নিঃশ্ছিদ্র নিভৃত কারাগারে, চিকিৎসক-বেশে

যেথা শয়ান বিশ্বনিয়ন্তা, অন্তর্যামী, সর্বসন্তাপহারী

ঔষধের অছিলায় বিষ করিল প্রয়োগ দুর্বৃত্ত প্রভুর নির্দেশে৷

সহসা কাঁপিল ধরিত্রী, দাবাগ্ণি শিখায় প্রজ্জ্বলিত অরণ্যানী

প্রচণ্ড রোষে গর্জিল জলধি, তরঙ্গোচ্ছাসে, রুদ্ররবি-তপ্ত তীরে

স্তম্ভিত সমগ্র প্রকৃতি, ধীর-স্থির সকল পাদপ-প্রাণী

বিনামেঘে অতর্কিতে ঝলকিত অশণি, বিষণ্ণ্ অম্বরে

ভাঙ্গিল ধ্যান আগ্ণেয়গিরি, উৎসারিত অনল-ফুটন্ত লাভাস্রোতে

গগন-পবন পরিব্যাপ্ত আকস্মিক এক অজানা আশঙ্কায়

প্রমাদ গণিল মুনি-ঋষি যত, করজোড়ে, অবনত মস্তকে

ধরণী মাঝে ধাবমান বুঝি, অভূতপূর্ব কোন মহাপ্রলয়৷

অলক্ষ্যে হাসি, পৃথিবীর সমস্ত গরল আত্মস্থ করিলে হে নীলকণ্ঠ

দিব্য বরাভয়ে জড়-চেতন-স্থির-জঙ্গম সৃষ্ট সবে হ’ল নিঃশঙ্ক৷

ক্ষমতাগর্বী দাম্ভিক চেয়েছিল মহাসম্ভূতি

                                নাশিতে ছলে-বলে-কৌশলে,

ধর্ম-সত্য অজর-অমর-চিরভাস্বর, এই ইতিহাস রচিলে

                                পুনর্বার বিশ্ব নিখিলে৷৷