গত ২৩শে ও ২৪শে মার্চ কলকাতায় প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের পক্ষ থেকে প্রাউটিষ্টদের এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এতে পঃবঙ্গ, ত্রিপুরা,অসম, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্য থেকে ১৫০ জন আমন্ত্রিত বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট প্রতিনিধি যোগদান করেন৷ এঁদের মধ্যে ছিলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রিধারী অধ্যাপক, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষক,ছাত্র-যুবা, কর্ষক ও মহিলা প্রতিনিধিগণ৷
দু’দিনব্যাপী এই সভার উদ্যোক্তারা ও বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দ বর্তমান সমাজের ক্রমবর্ধমান সামাজিক,অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংসৃকতিক প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান সমস্যার জন্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্যের মধ্যে যে মূল কথাটা উঠে আসে তা হ’ল, আজকের সমাজের সর্বক্ষেত্রে যে ব্যাপক অবক্ষয় তথা বিপর্যয় দেখা দিয়েছে,তার সমাধান পুঁজিবাদী সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা মাকর্সবাদে নেই, একমাত্র মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রবর্তিত যুগান্তকারী ‘প্রাউট’ দর্শনেই এর সমাধান রয়েছে৷
তাই আজকের সমাজকে ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রাউট দর্শনের বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই৷ সেই কারণে প্রাউটের ব্যাপক প্রচারার্থে ও সমাজ আন্দোলনে দ্রুতি আনতে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়৷
সর্বশেষে ১) দেশের প্রতিটি ব্লকের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত প্রাউটের প্রচারের জন্যে সর্বত্র প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷
২) প্রাউটের মুখপত্র নোতুন পৃথিবীর মানবৃদ্ধি ও ব্যাপক সারকুলেশনের জন্যে সম্পাদক সমিতি, লেখকগোষ্ঠী ও প্রচার সমিতি তৈরী করা হয়৷
৩) প্রাউটিষ্ট গবেষক টিম তৈরী করা হয়,
৪) সর্বস্তরে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের পরিকাঠামো ও অর্থসংস্থানের জন্যেও পৃথক টিম তৈরী করা হয়৷
সর্বশেষে প্রাউটকে বাস্তবায়িত করার জন্যে সবাই সর্বস্ব পণ করে কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ গ্রহণ করেন৷