প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন নির্বাচনী বন্ড প্রকাশ হতেই রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়ল৷ ভোটে যে পুঁজিপতিরা টাকা ঢালে তা এতদিন অনুমান ভিত্তিক প্রচার ছিল৷ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের কঠোর পদক্ষেপে ইলেক্টোরাল বন্ড সামনে আসায় এখন অনুমানটা সত্যে প্রমাণিত হলো৷ সেই সঙ্গে জনগণের কাছে এটাও পষ্ট হলো কেন দিন দিন ধনিক শ্রেণীর সঙ্গে গরিব মধ্যবিত্তের আর্থিক বৈষম্য বাড়ছে৷
শ্রী খাঁ বলেন পুঁজিপতিদের অর্থে নির্বাচিত শাসক কখনই পুঁজিপতির স্বার্থ বিরোধী কাজ করতে পারে না৷ পুঁজিপতিরাও যেখানে অর্থ বিনিয়োগ করে সেখান থেকে মুনাফা লুটবেই৷ তাই ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলগুলো বাধ্য হয় পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করতে৷ শুধু নির্বাচনের সময় জনগণের সামনে কিছু গাল ভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়৷ যার এক শতাংশও নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় বসার পর পালন করেনা৷ প্রতিটা নির্বাচনে পুঁজিপতিরা যে হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালে পাঁচ বছরের মধ্যে সেটা তাদের তুলে নিতে হয়৷
বাজারে সাধারণ মানুষের জীবন দায়ী ওষুধের দাম এত বেড়ে যাওয়ার মূল কারণও ওষুধ কোম্পানিগুলি ইলেক্টোরাল বণ্ড কিনে নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা ঢালা৷ সেই টাকা তারা জনগণের পকেট কেটেই তুলবে, নেতাদের ঘর থেকে নয়৷
শ্রী খাঁ বলেন পুঁজিবাদ নির্ভর বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটাই স্বাভাবিক৷ বর্তমান রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কেন্দ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় জনগণের দুঃখ মোচন কখনোই সম্ভব নয়৷ অর্থনীতিকে সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে প্রয়োগ করতে হলে যেমন কেন্দ্রিত অর্থনীতির খোল নলচে পাল্টে বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে তেমনি বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের ত্রুটিগুলি দূর করে রাষ্ট্র কাঠামোতেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ নির্বাচন ব্যবস্থাতেও পরিবর্তন আনতে হবে৷ জনগণের অচেতনতার সুযোগ নিয়েই অর্থ ছড়িয়ে ভোট কেনে দলগুলি৷ তাই শুধু বয়স হলেই ভোটার হওয়ার নিয়ম পরিবর্তন দরকার৷ জনগণের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সচেতনতারও দরকার৷ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা আছে প্রাউট প্রবক্তা শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রাউট তথা প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বে৷ রাষ্ট্রের যারা কল্যাণ চান তাদের উচিত অবিলম্বে প্রাউট তত্ত্বকে জেনে বুঝে প্রাউট তত্ত্বকে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়া৷