নিউব্যারাকপুরে অখন্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 গত ২৩শে সেপ্ঢেম্বর  নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে শ্রীমতী পারুল হালদারের উদ্যোগে ৰাৰা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের  অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ পরিচালনা করেন হরলাল হাজারী, স্বপন মন্ডল, শুভদ্বীপ হাজারী, আচার্য সেবাব্রতনন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা প্রমুখ৷ বিরাটি নিউব্যারাকপুর বারাসাত, বনগাঁ প্রভৃতি এলাকা থেকে আনন্দমার্গীরা  এই কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ অখন্ড কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনান্তে স্বাধ্যায় করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ এরপর কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও সাধনার গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য  অক্ষয়নন্দ অবধূত, সন্তোষ বিশ্বাস প্রমুখ৷ আচার্য সর্বেশ্বরানন্দজী তাঁর ভাষণে বলেন--- মানব জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ঈশ্বর লাভ৷ ঈশ্বর সাধনা মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশ ঘটায়৷ এই সাধনার ক্ষেত্রে কীর্ত্তন সবচেয়ে বেশী সহায়ক৷ কারণ কীর্ত্তন চঞ্চল মনকে একাগ্র করে, মনকে পবিত্র করে৷ এই একাগ্রীকৃত পবিত্র মন নিয়েই মানুষ ভালভাবে সাধনা করতে পারে৷ এইভাবে নিয়মিত কীর্ত্তন ও সাধনা করলে মানুষের মনের কলুষতা দূর হয়, মনের বিস্তার ঘটে৷ যাঁরা পরমপুরুষের কীর্ত্তন করেন তাঁদের মনে কোনও সংকীর্ণতা থাকে না৷ তাদের মনে জাত-পাত-সম্প্রদায়ের ভাবনা থাকে না৷ তার কাছে বিশ্বের সমস্ত মানুষ এক পরমপিতার সন্তান৷ মানুষ মানুষ ভাই ভাই৷ তাই প্রতিটি মানুষের জীবনে কীর্ত্তন ও সাধনা একান্ত প্রয়োজন৷ তার সঙ্গে মনে রাখতে হবে তাকে নীতিবাদের প্রথম পাঠ---যম-নিয়ম পালনেও নিষ্ঠাবান হতে হবে৷

সমগ্র  অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷