গত ১৮ই নভেম্বর গড়িয়াহাট মোড়ে ও গত ২৪শে নভেম্বর শ্যামবাজার মেট্রোর ১নং গেটের বিপরীতে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে সম্প্রতি ‘পিপ্পা’ ছবিতে প্রখ্যাত সুরকার এ.আর.রহমানের দ্বারা বিদ্রোহী কবি ও সুরকার কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’-এই ঐতিহাসিক দেশাত্মবোধক গানটিকে শিল্পীদের দিয়ে বিকৃত সুরে গাওয়ানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷
উক্ত বিক্ষোভ সভায় উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, অরূপ মজুমদার, সাংস্কৃতিক সচিব মোহনলাল অধিকারী, যুবসচিব তপোময় বিশ্বাস, অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্থ, নমিতা দেবী, প্রণতি পাল, জেলাসচিব হিতাংশু ব্যানার্জী, সুবোধরঞ্জন কর, শুভজিৎ পাল, আইনজীবী নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ রায়, সুশীল জানা, কবিতা দত্ত, তপন ভৌমিক, স্বাগতা ব্যানার্জী, কৃশানু ব্যানার্জী, শংকর সরকার ও স্পান্দনিক শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য-সদস্যাবৃন্দ৷
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে দাবি রাখেন,এই বিকৃত সুরের গানটিকে অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে৷ বাংলা ভাষা ও বঙ্গ সংস্কৃতির ওপর পুঁজিবাদী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় যে চরম আঘাত হানার চেষ্টা চলেছে, তারা তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন৷ সভায় উপস্থিত স্পান্দনিক শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য-সদস্যাবৃন্দ কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ - এই ঐতিহাসিক দেশাত্মবোধক গানটি মূল সুরে পরিবেশন করেন৷ এছাড়াও আরও অন্যান্য দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হয়৷ এছাড়াও দেশাত্মবোধক কবিতা পাঠ করেন তপন ভৌমিক৷
আমরা আরও লক্ষ্য করেছি যে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলিতে বাঙলা ধারাবাহিকের মধ্যে হিন্দি গান পরিবেশন করা হচ্ছে৷ অথচ মানুষের জীবনে এমন কোন মুহূর্ত বা ভাব নেই যাকে অবলম্বন করে বাঙলায় গান রচনা হয়নি, সে রবীন্দ্র সঙ্গীতই হোক, নজরুলগীতিই হোক বা অন্যকোন গীতিকারের গানই হোক৷ শুধুমাত্র হিন্দীসাম্রাজ্যবাদী ও পুঁজিবাদীদের উস্কানিতে ও প্ররোচনায় বাংলা ভাষাকে অসম্মান করার জন্যে বিভিন্ন ধারাবাহিক পরিচালকদের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে৷ বক্তাগণ এই অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধেও সরব হন ও বাঙালী জনগোষ্ঠীকে এই প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান৷