প্রতি বছরের মত গত ১১ই মার্চ নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৪০তম পদার্পণ দিবস মহা ধূমধামের সঙ্গে পালন করা হয়৷
উক্ত দিন ভক্তি আপ্লুত হৃদয়ে উপস্থিত ভক্তজন সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড সংকীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায় ও বিশিষ্ট জনেদের কথাঞ্জলির মধ্যে দিয়ে উপস্থিত সকলে মার্গগুরুদেবের প্রতি প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত ও মানবমুক্তির মহামন্ত্র ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন---তনুকা সরকার, স্বপন সাহা, কালিপদ পোড়ে, হরলাল হাজারী, আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত, আচার্য ভাবপ্রকাশানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ সংশুদ্ধা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্যা ও বিপ্লব শীল প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে নোতুন পৃথিবী পত্রিকার সম্পাদক আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত বলেন---প্রাউট-প্রবক্তা মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর আদর্শ অনুসারে সর্বাত্মক শোষণমুক্ত নোতুন পৃথিবী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য৷
আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন---মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী চরণস্পর্শে ধন্য এই স্থান মহা পবিত্র৷ ভবিষ্যতে এটি তীর্থরূপে পরিগণিত হবে৷
প্রাউটের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন---আজকের দিশাহীন মানব সমাজকে পথ দেখানোর উদ্দেশ্যেই নোতুন পৃথিবীর সৃষ্টি৷
বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট শ্রী প্রভাত খাঁ মহাশয় তাঁর বক্তব্যে বলেন---‘নোতুন পৃথিবী’র গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্যে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে৷ তিনি আরও বলেন ‘নোতুন পৃথিবী’ আদর্শ মানব সমাজ গড়ার হাতিয়ার৷
স্বাধ্যায়ের সময় প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ‘ধর্মের বিরুদ্ধাচরণ সমাজে ধবংস ডেকে আনে’---এই প্রবচনটি পাঠ করে শোনান৷ তিনি অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সঞ্চালনাও করেন৷ অনুষ্ঠান শেষে তিন শতাধিক ভক্তকে প্রীতিভোজে আপ্যায়িত করেন আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত ও আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ মণ্ডপ সজ্জায় ছিলেন সর্বশ্রী বরুণ দাশগুপ্ত, শ্যামাপদ মাটিয়া, ঋত্বিক দাস, সুমন শীল, বিট্টু রাম, সঞ্জু মণ্ডল, মিহির পাল, তরুণ ভৌমিক, ভবেশ বসাক ও আরো অনেকে৷