পান্তা ভাতে নুন যোগাতে সময় চলে যাচ্ছে--- সামাজিকতা হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

সম্প্রতি ইণ্ডাসভ্যালির এক সমীক্ষার বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে দেশের প্রায় ১০০কোটি মানুষ বেঁচে থাকার রসদ যোগাড় করতেই উপার্জনের সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ সঞ্চয় বা অন্য ভোগ্যপণ্য কেনার মতো সামান্য অর্থ সাধারণ মানুষের হাতে থাকছে না৷ আচ্ছা দিনের ভারতে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ দেশের ৫৭ শতাংশ সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে৷ দিন দিন তাদেরই বিকাশ ঘটছে৷ তারাই ধনী থেকে ধনীতর হচ্ছে৷ চরম মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের কবলে পড়ে আমজনতা পান্তা ভাতে নুন যোগাতেই হিমসিম খাচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক টাইম ইউজ সার্ভের প্রতিবেদনে ২০১৯ ও ২০২৪ সালের পার্থক্য তুলে ধরে দেখিয়েছে ২০১৯ সালে যেখানে ৬ঘন্টার কিছু বেশী সময় কাজ করলেই অন্নের সংস্থান হয়ে যেত, ২০২৪ সালে সেখানে সাড়ে সাত ঘন্টা কাজ করতে হচ্ছে৷ তাতেও হেঁসেল সামলানো যাচ্ছে না৷ অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হচ্ছে, ফলে পারিবারিক জীবনে সময় দিতে পারছে না, আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে লৌকিকতা বজায় রাখতে সময় পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ৷ জীবন থেকে সামাজিকতা হারিয়ে যাচ্ছে৷

আচ্ছা দিনের স্বপ্ণ দেখিয়ে মোদি ক্ষমতায় বসেছেন৷ সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথাও মোদির মুখে প্রায় শোণা যায়৷ অথচ মোদি জমানায় বিকাশ মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের৷ ১১বছর মোদি জমানায় কর্ম হারিয়ে বেকার হয়েছে ২০ লক্ষ মানুষ৷ মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের হার গত ৫০ বছরে সর্বনিম্ন৷ সরকারই প্রতিবেদনই প্রমাণ করছে মোদি সরকার ধণিক শ্রেণীর বিকাশের জন্যে৷