১৯৯৭ সালে দেশের হয়ে বিশ্ব টেবিল টেনিসে খেলা শুরু মৌমার৷ ২০০৪ সালের অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন৷ দ্বিতীয় অলিম্পিক্সে সুযোগ পান ১২ বছর পরে ২০১৬ সালে৷ পরের বছর বিশ্ব টেবিল টেনিসে মণিকা বাত্রাকে নিয়ে ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেন৷ ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে এই জুটি দেশকে রূপো এনে দেয়৷ আর তাই বাংলার মস্তকে আরও একটি পালক সুসজ্জিত হল৷ পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন বাঙলার এই টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মৌমা দাস৷
মৌমার দেশের চতুর্থ সর্র্বেচ্চ অসামরিক পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিরাট তাৎপর্য আছে৷ পদ্মশ্রী সম্মানের ৬৭ বছরের ইতিহাসে মৌমা দেশের মাত্র দ্বিতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন৷ এর আগে ২০১৯শে শরথ কমল প্রথম টিটি খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার পান৷ এতে আরও বেশি খুশি মৌমা৷ টি.টি-তে দ্বিতীয়তম মৌমাই পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হলেন৷
এই বিষয়ে মৌমা জানান ‘‘যখন দিল্লী থেকে ফোনটা আসে তখন আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি , ‘‘ফর্ম ভর্তি করে পাঠাতে হয়৷ সেটা করেছিলাম ঠিকই কিন্তু আশা করিনি, আমাকে এত বড় সম্মান দেওয়া হবে৷ তাই প্রথম যখন খবরটা পেলাম বিশ্বাস হয়নি আমার৷
তিনি আরও বলেন---‘ আমি এই পুরস্কার আমার মেয়েকে উৎসর্গ করলাম, কারণ সবাই বলে ও আমার জীবনে আসার পর আমার সাফল্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টিটি-তে ভারতের আরও সফলতা কামনা করি৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও সাফল্য দরকার আমাদের না হলে দেশে এই খেলাটা জনপ্রিয় হবে না৷
খেলাটা অনেক দিন প্র্যাকটিস করা হয়নি ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন করে সবকিছু শুরু করব৷ ঘরোয়া টুর্র্নমেন্টে ভাল খেলে ধাপে ধাপে এগোতে চাই ৷ আমি কোনো পরিকল্পনা করিনা অনেক দিন প্র্যাকটিস না হওয়ার ফলে ধীরে ধীরে এগোতে চাই, জানি না এবারে আমি অলিম্পিক্সে জায়গা পাব কি না, এখন এসব নিয়ে ভাবছি না৷ কিন্তু আগে ব্যাট বল ধরে নিজেকে ফিট করতে চাই৷ আর একটা কথা জানাতে চাই আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা ভবিষ্যতে যখন আমি খেলা ছাড়ব তারপরই শুরু হবে আমার নূতন এক অন্য অভিযান৷ চেষ্টা করব আরও ভাল খেলোয়াড় তুলে আনার৷ যাতে আমাদের দেশে আরও মেডেল আসে আর দেশের ও বাঙলার নাম উজ্জ্বল হয়৷