প্রাকৃতিক সামঞ্জস্য নষ্ট হওয়ার কারণেই তাপপ্রবাহে জ্বলছে বাঙলা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

তাপপ্রবাহে দগ্দ হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ৷ সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রা আসানসোল শিল্পাঞ্চলে৷ পুরুলিয়া বাঁকুড়াতেও তাপমাত্রা আসানসোলের আসে পাশে বইছে৷

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশী হওয়ায় ও বাতাসে আদ্রতা বেশী থাকায় গরমে অস্বস্তি বাড়ছে৷ এই তাপপ্রবাহ থেকে এক্ষুনি স্বস্তি মিলবে না৷ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস আরও দু’দিন ভ্যাপসা গরমের দাপট থাকবে৷

ইতিমধ্যে রাজ্যে তাপ প্রবাহে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ ১১ই জুন ভেলোরে চিকিৎসার জন্যে যাওয়ার পথে হাওড়া স্টেশনে এক ব্যক্তি মারা গেছেন৷ তাঁর বয়স ৫৩৷ বাঁকুড়ায় সানস্ট্রোকে ৪০ বছরের এক ব্যক্তি মারা যান৷ পুরুলিয়ায় ১০ বছরের এক বালক স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে মারা যান৷ গরমের কারণেই ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়ে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশী থাকায় গরম অসহনীয় হচ্ছে৷

তবে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ সেখানে বিভিন্ন জেলায় অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের৷ আগামী ১৬ ও ১৭ই জুন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে৷

বিশেষজ্ঞদের মতে নির্বিচারে গাছ কাটা, বনাঞ্চল ধবংস ও অবৈজ্ঞানিকভাবে নগরায়ণের কারণে প্রাকৃতিক সামঞ্জস্য নষ্ট হচ্ছে৷ জলাভূমি ভরাট করে বাসস্থান গড়া, বড় বড় গাছ ধবংস করে রাজপথ নির্মাণ---আধুনিক সভ্যতার দাপটেও পরিবেশের সামঞ্জস্য নষ্ট হচ্ছে৷ তারই পরিণতিতে এই ভয়াবহ তাপপ্রবাহ৷ ২০১২ সালে রাজ্যে তাপপ্রবাহে ১৩৫ জন মারা গিয়েছিল৷ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে রাজ্যে এক তৃতীয়াংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন৷