প্রাউটের পথে আসবে প্রকৃত পরিবর্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

ভারতবর্ষ ইংরেজদের কবল থেকে ‘‘স্বাধীনতা পেলেও প্রকৃত স্বাধীনতা স্বাধীনতা আজ পর্যন্ত কোন ভারতবাসী  পায়নি৷ কারণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পেলেই তবে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ফলপ্রসূ হয়৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকার তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ সব সরকারকেই পর্দার অন্তরালে রেখে পুঁজিপতিরাই শাসন চালনা করছে৷ যদিও পুঁজিবাদকে ধবংস করার জন্যে বঙ্গে কমিউনিজম এসেছিল ও দীর্ঘ তিন দশক রাজত্ব করেছিল তবুও সেটাও ব্যর্থ হল আসলে এটাও হচ্ছে  পুঁজিবাদ৷ পুঁজিবাদ হচ্ছে দু’ধরণের, একটি হচ্ছে ব্যষ্টি পুঁজিবাদ ও আরেকটি হল রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ৷ রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ সরকারের দ্বারাই পরিচালিত হয় সুতরাং সেই সরকার যার প্রতি দয়াবান হয় তাকেই দেখে বাকীদের নয়৷ এই ভ্রান্ত দর্শন কমিউনিজমের  জন্য বঙ্গে অনেক ক্ষতি হয়েছে৷ কেবল বঙ্গে নয় সমগ্র বিশ্বে এই দর্শন ব্যর্থ বলেই তা আজ নিশ্চিহ্ণ হতে বসেছে৷

মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে দেশের বেশীরভাগ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে বলেই দারিদ্র দেখা দিয়েছে আর সেজন্য কমিউনিষ্টরা চেয়েছিল সমস্ত কিছু  নিজেদের দখলে আনতে ও তারা করেছিলও৷ সরকারের হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত হলে, তারা যাদের ওপর বরদহস্ত হয় তারাই টাকার কুমির হয়ে যায়৷  কমিউনিষ্টদের জমানায় রাজ্যের প্রায় ৮০০০০ এর উপর কল কারখানা বন্ধ হয়েছে৷ কেবল এটাই না, এই কমিউনিষ্টদের রাজত্বকালে কত মানুষ অত্যাচারিত, শোষিত লাঞ্ছিত হয়েছিল, মানুষ খুন  হয়েছিল তার ইয়ত্তা নেই৷ তাই নির্যাতিত মানুষেরা পরিবর্তন চেয়েছিল বলেই বঙ্গের জনগণ মমতা ব্যানার্জীকে সরকারের আসনে  বসিয়েছিল ও নতুন স্বপ্ণ দেখেছিল৷ তারা ভেবেছিল এবার সত্যি পরিবর্তন হবে,মানুষ এবার মানুষের মত বাঁচতে  পারবে কিন্তু তারাও মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ৷  বর্তমানে মোদি সরকারের কাজকর্মে ও বিভিন্ন পদক্ষেপে একের পর এক বিতর্ক হচ্ছে৷ সমালোচনা হচ্ছে৷ তিনিও যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো পালন করেননি ও আরো দশ বছর থাকলেও সত্যিকারের পরিবর্তন আসবে না অর্থাৎ নেতাজীর যে স্বপ্ণ ছিল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তা আসবে না বা আসার কোন পথও নেই৷

এযাবৎ রাজনৈতিক পরিবর্তনে রাজ্য বা দেশের কোন লাভ হয়নি৷ তাই মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রণীত প্রাউট দর্শনের রূপায়নের মাধ্যমেই আসতে পারে প্রকৃত পরিবর্তন৷