ধর্মমহাসম্মেলনে তিন দিন ধরে আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র শিল্পীরা প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, গীতি আলেখ্য, গীতিনাট্য প্রভৃতি পরিবেশন করে ধর্মমহাসম্মেলন প্যাণ্ডেলটিতে এক স্বর্গীয় আনন্দময় পরিবেশ রচনা করেন৷
প্রথম দিন সন্ধ্যায় এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত নাটক ‘খ্যাটনদাসের মর্মবাণী’ পরিবেশন৷ এই নাটকটি পরিবেশন করে আনন্দমার্গ শিশুসদন ও আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের ছাত্ররা৷ এদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত৷ তাঁর মঞ্চসজ্জাও সকলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে৷ দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল নাটক ‘কাঠুরিয়ার গল্প’৷ রচনা ও নৃত্য নির্দেশনা গার্গী বিশ্বাস৷ পরিবেশনায় ‘রাওয়া’র টাটানগর শাখা৷
তৃতীয় দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল নৃত্য, গীতি আলেখ্য ‘সবাইকে নিয়ে এগিয়ে চলো’৷ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে এই নৃত্য-গীতি-আলেখ্যটি রচনা করেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত৷ পরিবেশনায় কোলকাতা নিখিল ভারত সঙ্গীত একাডেমীর কলা-কুশলীরা৷ তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে ‘মুশাফির’ গীতিনাট্য৷ রচনা--- আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত৷ পরিবেশনায় নিখিল ভারত সঙ্গীত একাডেমীর শিল্পীরা৷
এছাড়া, এই অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত সঙ্গীত শিল্পী দীপান্বিতা দেবনাথের প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন৷
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় রাওয়া সচিব আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত৷ সহযোগিতায় আনন্দনগরের রাওয়া সেক্রেটারী আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত৷