প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা রামনগর কেন্দ্রে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

রামনগর, ১৫ই সেপ্ঢেম্বর:- আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ- এর সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ রেনেসাঁ আর্টিস্ট এন্ড রাইটার্স এসোসিয়েশন, (রাওয়া) রামনগর শাখা আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীতের ৪২তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অঙ্কন ও নৃত্য প্রতিযোগিতার প্রারম্ভিক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয় রামনগর রাও হাই স্কুল প্রাঙ্গণে৷ প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে প্রভাত সঙ্গীতের আকর্ষণে রামনগর, দীঘা, এগরা প্রভৃতি এলাকা থেকে অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন বিভাগে শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে৷ অঙ্কন বিভাগে বিচারক ছিলেন পাঁশকুড়া থেকে বাসুদেব মন্ডল, সঙ্গীত বিভাগে বিচারক ছিলেন হলদিয়া থেকে অলকা বর্মন ও পাঁশকুড়া থেকে অজিত মন্ডল এবং নৃত্য বিভাগে বিচারক ছিলেন প্রহেল কৃষ্টান৷ উদ্বোধন করেন সংস্থার ডিট সম্পাদক আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত৷ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন করনিক সান্তনু কুমার পুষ্টি, প্রাক্তন সেনাকর্মী খোকন থাট, কাঁথি উইনিট সম্পাদক শুভেন্দু ঘোষ,শিক্ষকা সোমা সিনহা, শিক্ষক পূর্ণেন্দু খাঁন্ডা, বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ভজহরি বর্মন, দীপ্তেন্দু জানা, লাল্টু বায়, শিক্ষাকর্মী অরবিন্দ সাঁতরা, রাখহরি মাইতি, শ্রীমন্ত পাত্র, প্রাক্তন পার্শ শিক্ষক বিজয়ানন্দ মাইতি,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গীত, নৃত্য ও অঙ্কন শিক্ষকগণ, অভিভাবক- অভিভাবকা ও স্থানীয় এলাকাবাসী৷ প্রভাত সঙ্গীতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে রামনগর কেন্দ্রের সম্পাদক তথা শিক্ষক বিদ্যাসাগর মাহাত বলেন যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা, আধ্যাত্মিক ও সমাজ গুরু শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার ১৯৮২ সালের ১৪ সেপ্ঢেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ২০ শে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৮ বছরের কিছু বেশি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় ৫ হাজার ১৮টি সংগীত রচনা করেছেন যা সংস্কৃতিক জগতে এক বিপ্লব৷ বিভিন্ন ভাব ও বিষয়বস্তুর উপর আলোকিত প্রভাত সংগীত এর কয়েকটিকে নির্বাচিত করে প্রতিবছর সারা বিশ্বব্যাপী প্রভাত সংগীত প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়৷