প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত ২৮শে আগষ্ট পাঁচটি রাজ্যে পুলিশ তল্লাশী চালিয়ে হায়দ্রাবাদ থেকে কবি সাহিত্যিক ভি.ভি. রাও, দিল্লি থেকে গৌতম নওলাখা , থানে থেকে অরুণ ফেরেইরা, মুম্বাই থেকে ভার্ণিন গণসালভেজ ও ফরিদাবাদ থেকে মানবধিকার আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজকে গ্রেফতার করে৷ এঁরা সবাই সমাজকর্মীরূপে পরিচিত৷ পুলিশ জানাচ্ছে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের এই তল্লাসী ও গ্রেফতার৷
আট মাস আগের ‘মোদি হত্যার ছক’ নিয়ে একটি বেনামী চিঠির ভিত্তিতে কেন্দ্রের এই তৎপরতা৷ কিন্তু এতমাস পরে পুলিশের এই তৎপরতা কেন? পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই এই তৎপরতা৷
গ্রেফতার হওয়া সবাই বাম মনোভাবাপন্ন ও মাও সমর্থনকারী বলে অভিযোগ৷ স্বাভাবিকভাবে এঁদের গ্রেফ্তারের প্রতিবাদে বুদ্ধিজীবী মহল এগিয়ে আসেন৷ ধৃতদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন বিভিন্ন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী৷ ধৃতদের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী মনু সিঙ্ঘভি৷ তাঁর বক্তব্য ছিল, যে অভিযোগে ওই পাঁচজন সমাজকর্মীকে গ্রেফ্তার করা হয়েছে, এফ.আই.আর-এ তাঁদের নামই ছিল না৷ যেভাবে ওঁদের গ্রেফ্তার করা হয়েছে তাতে গণতন্ত্র ধবংস হয়ে যেতে পারে৷ প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র তাঁর রায়ে বলেন, ওই পাঁচজন বুদ্ধিজীবীকে ৬ই সেপ্ঢেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানী পর্যন্ত গৃহবন্দী করা হোক৷ পুলিশী হেফাজত নয়৷