পরলোকে শান্তনা দে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

শিলচর শহরের বিশিষ্ট ‘আমরা বাঙালী’র নেত্রী শ্রীমতি শান্তনা দে লিঙ্করোড ৭নং গলির নিজ বাসভবনে ভোর সাড়ে  তিনটায় পরলোক গমন করে৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯বছর৷ বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্দ্ধক্য রোগে ভুগছিলেন৷ মৃত্যুকালে দুই পুত্র সুমিতাংশু দে, ডাক্তার শুভমাংশু দে ও একমাত্র বিবাহিতা কন্যা রাখী দে সহ অসংখ্য গুণমুগ্দ রেখে গেছেন৷ তার মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন প্রাক্তন কমিশনার ও আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ, শিলচর পুরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার রতন সরকার, শিক্ষাবিদ পুলিন দাস, শিক্ষাবিদ সমিন মেদি সহ আরো অনেকে৷

শ্রীমতি শান্তনা দে আধ্যাত্মিক সংঘটন আনন্দমার্গের অনুগামী ছিলেন৷ তাই স্বাভাবিকভাবে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সঙ্গে যুক্ত আনন্দমার্গীরা তাঁর বাড়ীতে ও শ্মশান ঘাটে জমায়েত হয়ে প্রয়াত শান্তনা দে’রপ্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ সেই সঙ্গে আনন্দমার্গের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে সামনে রেখে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ভজন, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনা করেন৷ শ্মশানের চিতায় দুই পুত্র তাহার চরন জুগলে অগ্ণি সংযোগ করে দেহটি পঞ্চভূতে বিলিন করানো হয়৷ সমগ্র  অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দ অরুন্ধুতী আচার্যা ও আচার্য সুনন্দানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ কাছাড় ভূক্তির ভূক্তিপ্রধান পান্না রায় সহ অর্চনা ধর, জীশু চক্রবর্তী, দেবাশিষ রায়চৌধুরী, ডাঃ তন্ময় রায়, রাজেশ ভট্টাচার্য, কাঞ্চন দেব রায় , বাপ্পাদিত্য দে কানুনগো, সমর পাল ও আরো অনেকে৷ এখানে উল্লেখ্য শ্রীমতি শান্তনা দে মহোদয়া শিলচর বিধানসভা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’র হয়ে দুইবার ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালে দাঁড়িয়েছিলেন৷