নাগপুর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দফতর নাগপুরে তাদের সংঘটনের অনুষ্ঠানে প্রণব মুখার্জীর যোগদানকে ঘিরে নানান্ কথা শোণা যাচ্ছে৷ আজীবন যে প্রণববাবু আর.এস.এস তথা বিজেপি’র বিরোধিতা করে গেছেন, গান্ধী-হত্যার পেছনেও যাঁদের হাত ছিল বলে আসছেন, আজ হঠাৎ তাদের অনুষ্ঠানে প্রণববাবু নিজের এতদিনের মতাদর্শ বিসর্জন দিতে গেলেন কেন? যদিও তিনি সেখানে বহুত্ববাদ ও সহিষ্ণুতার কথাই বলেছেন, কিন্তু ওখানে যোগদানই করতে গেলেন কেন--- এ নিয়ে রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা বিস্তর চিন্তাভাবনা করছে৷ সম্প্রতি বিজেপি বিরোধী মহাজোটের সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে, তাতে আশা করা হচ্ছে এই মহাজোট হলেও যে দলের যেখানে শক্তি বেশী তাদের প্রার্থীকে মহাজোটের অন্যান্যরা সমর্থন করলে বিজেপি ধরাশায়ী হবে৷ তখন প্রশ্ণ উঠবে প্রধানমন্ত্রী কে হবে৷
কংগ্রেস যে সেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারবে না তা বলাই বাহুল্য ৷ এ ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধী কি প্রধান মন্ত্রিত্বের দাবী ছেড়ে দেবেন? আর সোনিয়া তা মানবেন? জটিল প্রশ্ণ৷ তাছাড়া, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, নবীন পট্টনায়েক, চন্দ্রবাবু নাইডু ---এরা --- একে অপরকে মেনে নেবেন কিনা--- যথেষ্ট সন্দেহ আছে৷
এই যখন সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে, তখন সম্প্রতি শিবসেনা নেতা বাল ঠাকরে (তাঁদের বিজেপি বিরোধী মহাজোটে যোগদানের সম্ভাবন রয়েছে) তাঁদের মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রণব মুখার্জীর নাম উঠিয়েছেন৷ বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে প্রণব বাবুই হতে পারেন সর্বসম্মত প্রার্থী৷ এমনকি আর এস এসও নাকি তেমনি সম্ভাবনা আঁচ করে আগে থেকে প্রণববাবুর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরী করছেন৷ হয়তো প্রণববাবুরও ভেতরে ভেতরে সেই ইচ্ছা আছে৷ তাই সব মহড়া চলছে৷ রাজনীতি বড় কুট৷