পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত-কেন্দ্রিত অর্থনীতির কু-ফল অর্থনীতির আকাশে জমছে কালো মেঘ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কই একথা স্বীকার করে নিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকে আবার বাড়তে চলেছে রেপোরেট৷ ফলে ব্যাঙ্ক ঋণে সুদের বার মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাবে বলেই ধারণা অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের৷ আর্থিক দুরবস্থা থেকে মধ্যবিত্তের মুক্তির আশা আপাতত নেই৷ গত মে মাস থেকে সেপ্ঢেম্বর মাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রেপোরেট বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করতে৷ ৪.৪ শতাংশ থেকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে সেপ্ঢেম্বরে রেপোরেট দাঁড়ায় ৫.৯০ শতাংশ, অবশেষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোধদয় হয় রেপোরেট বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নে৷ এই ব্যর্থতার কথা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চিঠি লিখে কেন্দ্রকে জানিয়ে দেয়৷ এই পরিস্থিতিতে আগামী নীতি নির্ধারন কমিটির বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আবার রেপোরেট বাড়াতে চলেছে, ফলে আর্থিক দুরাবস্থা থেকে নিস্তার নয়, আরও দুর্গতি বাড়ারই আশঙ্কা আছে৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের এক মুখপাত্র বলেন---জি.এস.টি, রেপোরেট-কেন্দ্রীত অর্থনীতির এই পরিকাঠামো তৈরীই হয়েছে পুঁজিপতিদের মুনাফা লোটার জন্যে৷ তাই সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্র্যেগ অবসানের কোন সম্ভাবনাই নেই এই অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয়৷ তিনি বলেন---সাধারণ মানুষের হাতে জীবন ধারণের নূ্যনতম প্রয়োজন তুলে দিতে হলে বর্তমান আর্থিক কাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে৷ স্থানীয় সম্পদের উপর ভিত্তি করে বিকেন্দ্রিত পথে ব্লকে ব্লকে কৃষি ভিত্তিক, কৃষ্টি সহায়কও অকৃষি শিল্প গড়ে সাধারণ মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দিতে হয়৷ তবে বর্তমান শাসক দল ও আর্থিক নীতি নির্ধারকরা কেউই এই পথে হাঁটতে চাইবে না৷ কারণ উভয়েই পুঁজিপতিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ তাই তাদের স্বার্থরক্ষা করাই ওদের কাজ৷ তিনি বলেন বর্তমান আর্থিক দুরাবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিতে ও প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা তুলে দিতে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আমূল পরিবর্তনের দাবীতে প্রাউটিষ্টরা অবিলম্বে আন্দোলনে নামবে৷