প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ এক আলোচনায় বলেন--- পুঁজিবাদী শোষণ ও ভ্রান্ত জড়বাদী তত্ত্ব আজ বাঙলাকে ধবংসের পথে ঠেলে দিয়েছে৷ শ্রী খাঁ বলেন বাঙলায় প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব নেই, বনজ, কৃষিজ, খনিজ, জলজ সম্পদ কোন কিছুরই অভাব নেই৷ বিদেশী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বাঙলাকে শোষন করেই পুষ্ট হয়েছিল৷ কিন্তু স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরও বাঙলার সম্পদ বাঙলার উন্নয়নে বা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কল্যাণের কাজে লাগানো হয়নে৷ বহিরাগতের স্বার্থপূর্তির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলো পুঁজিপতি ও হিন্দিসাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে ঘা দিতে চায় না৷ এই ব্যাপারে ডান-বাম-রাম সব একপক্ষ, সে নিজেদের মধ্যে যতই লড়াই করুক৷ তাই স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বাঙলায় কোন বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়নে৷
শ্রী খাঁ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন---ডানপন্থী -রামপন্থীদের কথা বাদ দিন, যারা নিজেদের গরীবের মা-বাপ বলে বাঙলায় ৩৫ বছর শাসন চালিয়ে গেল তারাও মানুষের আর্থিক দুর্দশা দূর করার কোন পরিকল্পনাই নেয়নে৷ উপরন্তু কর্ষকদের পেটে লাথি মেরে জমি কেড়ে নিয়ে পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিয়েছে৷ মানুষের আর্থিক দুর্দশা ও অসচেতনাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছে৷ পুঁজিপতিরা শুধু আর্থিক সম্পদই লুঠ করছে না, ভিন্নভাষার নিম্নরুচির সিনেমা গান সাহিত্যের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে কৌশলে যুবসমাজের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে বাঙালীর বিপ্লবের মানসিকতাকে আটকে রেখেছে৷
শ্রী খাঁ বাঙলার যুব সমাজের উদ্দেশ্যে বলেন---এই জিনিস আর চলতে দেওয়া উচিত নয়৷ বাঙলার ছাত্র-যুব সমাজ আর কতদিন সহ্য করবে এই দমন পীড়ন অত্যাচার৷ একদিকে বাঙলার সম্পদ লুঠ হয়ে যাচ্ছে, আর আত্মঘাতী রাজনীতিতে মত্ত বাঙলার ছাত্র-যুব-সমাজ৷
প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা বলেন বাঙলাকে বাঁচাতে, বাঙলার গৌরবময় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অবলুপ্তির পথ থেকে রক্ষা করতে হলে বাঙলার ছাত্র-যুব সমাজকে জেগে উঠতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷ নূতন করে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে প্রাউটের পতে নূতন বাঙলা গড়ে তোলার জন্যে৷
প্রাউট প্রসঙ্গে শ্রী খাঁ বলেন--- প্রাউটের সমাজ আন্দোলনই বাঙালীর গৌরবময় ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবে৷ আর শুধু বাঙলা নয় ভারতবর্ষের ৪৪টি জনগোষ্ঠীকেও শোষণ মুক্তির পথ দেখাবে প্রাউটিষ্টরা৷