পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের  বিরুদ্ধে যাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের প্রতি  ভারতবাসীগণ কৃতজ্ঞ

লেখক
নিরপেক্ষ

ভারত যুক্তরাষ্ট্র জনসংখ্যাতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ৷ কিন্তু গণতান্ত্রিক বৃহত্তম রাষ্ট্র হিসাবে স্বাধীনতার পর এই সমস্যা সংকুল পৃথিবী গ্রহে কতটুকু ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে সাহায্য করতে পেরেছে? আজ ইউক্রেনের মতো ছোট দেশ আমাদের অসহায় ছাত্রাছাত্রাদের যেভাবে  ঝুঁকি নিয়ে স্বদেশে পাঠিয়েছে তারজন্য আমরা অত্যন্ত কৃতার্থ ও চিরকাল সেই ছোট্ট দেশটিকে স্মরণে রাখবো৷ শুণে ও টিভিতে দেখে আনন্দ হলো সারা পৃথিবীর ছোট বড়ো রাষ্ট্রগুলি অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে তাঁদের পাশে চরম সংকটের দিনে দাঁড়িয়েছেন ও রাশিয়ার মতো এক হিংস্রনিছক দেশের শাসকদের পরিত্যাগ করেছেন ও ধিক্কার দিয়েছেন৷ তবে আমার যে রাশিয়ান ভাই বোনেরা জীবন বিপন্ন করে রাশিয়ার নিষ্ঠুর সরকারের ইউক্রেন এর উপর নিষ্ঠুর আক্রমণের সেদেশের সরকারের কাজকে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তাঁদের প্রতি সমগ্র ভারতের  জনগণ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ ও অনিন্দিত৷ ভারত ইউক্রেনের জনগণ ও সরকারের প্রতি অত্যন্ত আ?? কারা তাঁরা  হিংস্র রুশ শাসকদের  রক্তচক্ষুর  কাছে মাথা নত না করে  সমগ্র দেশের সৎ ও সাহসী নাগরিকগণদের  জন্মভূমির প্রতি ভালাবাসা ও দায়বদ্ধতা দেখে৷ বাঁচতে হলে এইভাবে  প্রতিরোধ করতে হবে ভবিষ্যতেও যখন হিংস্র সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি নিজেদের স্বার্থে আক্রমন করবে৷ তা না হলে এই সুন্দর পৃথিবী হয়ে দাঁড়াবে নিষ্টুর অত্যাচারীদের  স্বর্গরাজ্য৷ তাই ঈশ্বর বলেন বাঁচতে হলে--- প্রতিবাদ, প্রতিরোধ প্রয়োজন হলে প্রতিশোধ নিয়ে পাপ শক্তিকে প্রতিহত করতেই হবে৷ কারণ সংগ্রামই জীবন৷

আমরা ভারতবাসী ইউক্রেনের মতো একটি কৃষি প্রধান দেশকে ও সেই দেশের মহান নীতিবাদী জনগণ নারী, পুরুষ ও শিশু নির্বিশেষে সকলে যেন বীরের মতো বীরাঙ্গণার মতো চিরকাল উঁচু মাথা নিয়ে কালাতিপাত করেন৷ একটা কথা স্মরণে রাখতে হবে তা হলো কোনদিনই কোন রাষ্ট্রের জনগণ যেন পাপশক্তির কাছে ক্ষুদ্র খণ্ড ব্যষ্টি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে মানবিক মূল্যবোধকে বিক্রি না করেন৷ হিটলারের আত্ম অহংকারটাই ছিল তাঁর পতনের কারণ আর পুতিন কেজিবির চিন্তায় ও নিষ্ঠুর  মানসিকতায় পুষ্ট বলেই মহান রাশিয়ার সৎনীতিবাদীদের অস্বীকার  করে সেই হিটলারের মতো হিংসার নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে চিরকালের বন্ধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র যে খাদ্য ও অর্থ দিয়ে লেলিনের রাষ্ট্রকে সাহায্য করে এসেছে তাকে শোষনতো দীর্ঘবছর করেই গেছে৷ তার উপর জনগোষ্ঠীর একাংশের সেই কারণে বৃহত্তম রাষ্ট্রে ধবংস হয়েছে আর আজও হতে চলেছে৷ মনে রাখা দরকার বাঁচ আর অপরকে বাঁচতে দাও৷ তাছাড়া একটা কথা বিশেষভাবেই সকল শাসককে স্মরণে রাখতেই হবে এই পৃথিবী হলো এক অদৃশ শক্তির সৃষ্টি, যাঁকে সবাই ঈশ্বর, আল্লাহ, গড ও নানা নামে ডাকেন৷ তিনি সকলেরই পিতা৷ তাই এই গ্রহের শ্রেষ্ঠতম জীব হিসেবে মানুষ এর কর্ত্তব্য হলো এই গ্রহের সকলেই  সেই জীবজন্তু গাছপালাকে রক্ষা করা৷ তাদের রক্ষা করার দায়ই হলো সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের৷ তাকে ধবংস করা নয়৷ তাই রুশ সরকারের উচিত হিংসা বর্জন করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এগিয়ে যাওয়া৷ যুদ্ধ নয় শান্তিই হলো মূল্য লক্ষ্য৷