সবাই চকিত চকোর বিস্ময়ে
চেয়ে রয় তোমা পানে
বজ্রদীপ্ত স্ফুলিঙ্গ বিদ্যুল্লেখা সম
এ বালক---কোথা হতে আগমন !
পরাধীন দেশে বহিছে
শোষণের তুফান---এমনি দুঃসময়ে৷
ব্রিটিশ স্বার্র্থন্বেষী বহিঃশত্রু
কু-বুদ্ধি ব্যবসায়ী মনোভাব আপ্লুত
অবাধ লুন্ঠনের ফন্দিবাজী গুপ্ত রেখে
প্রবেশিল মোদের স্বদেশে
নিরীহ সরলপ্রাণ ধার্মিক ব্যষ্টিরে
ঘেরিল তারা রক্তচক্ষু জালে৷
হে ক্ষুদিরাম --- তুমি নও ক্ষুদ্র মানব
দানবের ত্রাস তুমি
অল্পবয়সে তব অঙ্গে ফুটন্ত শোণিত ধারা
ব্রিটিশের রক্তচক্ষু- শাসনে
শোষণের পরাকাষ্ঠায়
নিস্পেষিত শত শত স্বদেশী জনতা৷
ব্রিটিশ- দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ
নিরীহ জাতির মুক্তিদানে
সংগ্রামে লড়েছ জীবন-মরণ পণে,
কেহ রোধিতে পারে না
তোমার বীর বিপ্লবী জীবন,
ত্যাগ-তিতিক্ষা-সংগ্রামের প্রতিভূ
ধন্য তোমার জীবন
দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষিছে বার্তা
স্বদেশের স্বাধীনতা কথা৷
দেশমাতৃকার সেবায় নিবেদিত
মরণকে করেছ বরণ
ক্ষুদ্র স্বার্থকে তিলাঞ্জলি দিয়ে৷
আপোষহীন সংগ্রামে স্বাধীনতা লাভে
প্রয়োজন রাখনি আপন আবাস-নিবাস,
উৎখাত করেছ কু-শাসন
আপন দেশের মাটি হতে৷
দাসত্বের শৃঙ্খল মোচনে
দৃঢ় সংকল্পে রেখেছ বিরাট অবদান৷
ভুলছি না , ভুলবো না তোমায়
বারে বারে মোরা স্মরণ করি
মেদিনীপুরের দামাল ছেলে
এগারই আগষ্ট স্মরণীয় দিনে
ইতিহাস পটে চিহ্ণিত
তোমার অম্লানকীর্ত্তি,
দেশের সেবায় প্রাণ নিবেদন
স্মরণ করিছে দেশবাসী৷
বঙ্গবাসীর তনয় তুমি
ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে
গেয়েছো স্বাধীনতার গান৷
তোমার আত্মত্যাগের স্ফুলিঙ্গ স্পর্শে
বাঙালী জাতি জেগেছে আজ
গাহিছে জয়গান
উড়িছে বিজয় নিশান৷
- Log in to post comments