ফুলকপি–ৰাধাকপি

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তোমরা হয়ত জান ফুলকপি–ৰাধাকপি, লেটুস [Letuca sativa], ব্রকোলি এরা সবাই আদিতে এক প্রজাতির ছিল৷ ওদেরই কিছুটা দূর সম্পর্কের জ্ঞাতি ছিল কুকসিমা, ক্যালেণ্ডুলা ও পপির পূর্বপুরুষেরা৷ কুকসিমা, ক্যালেণ্ডুলা ও গাঁদা বর্গীয় গাছেদের রক্তপাত নিবারণের ক্ষমতা আছে৷ ওদের থেকে তাই এই ধরনের ওষুধও তৈরী হয়৷ কপিতেও এই ধরনের গুণ অল্পমাত্রায় আছে৷ প্রাচীনকালে এক থাকতে থাকতে পরে লেটুস প্রশাখা ও ফুলকপি প্রশাখা পৃথক হয়ে যায়৷ ফুলকপি প্রশাখায় এসে যায় এক সঙ্গে অগুণতি শাদা বা হরিদ্রা বর্ণের ফুল৷ আমরা ভাবি একটি ফুলকপি বুঝি একটি ফুল৷ না, না, তা নয়  একটি ফুলকপি অগুণতি ফুলের সমাহার৷ লেটুস ও ৰাধাকপিও কতকটা এক৷ তবে লেটুস ৰাধে না, ৰাধাকপি ক্ষাধে–এইটুকুই তফাৎ৷ ব্রকোলি ফুলকপি জাতীয়ও হয় আবার ৰাধাকপি জাতীয়ও হয়৷ একটি ফুলকপি গাছে একাধিক ফুলকপি হলে বা একটি ৰাধাকপি গাছে একাধিক ৰাধাকপি হলে, তাকে বলে ব্রকোলি৷ ফুলকপি পুষ্পশাকের অন্তর্ভুক্ত৷ ৰাধাকপির সুরুয়া অস্থিরোগের (হাড়ের রোগ) ঔষধ৷ ফুলকপি–সেদ্ধ নুন ও অল্প মশলার সঙ্গে খেলে তা অস্থি ও চক্ষূরোগের ঔষধ৷ ফুলকপির ফুল একটু গুরুপাক৷

গুণে লেটুস ও ৰাধাকপি দুই–ই পত্রশাক বর্গীয় হলেও লেটুস তাড়াতাড়ি হজম হয়৷ তাই তা দিয়ে স্যালাড তৈরী করে কাঁচা খাওয়া হয়৷ ৰাধাকপি অত তাড়াতাড়ি হজম হয় না৷ তাই তা দিয়ে স্যালাড করে কাঁচা খাওয়া যায় না৷ পত্রশাক হিসেবে ৰাধাকপি ও লেটুসের যে গুণ আছে তা বেশী নুন–ঝাল–তেল দিয়ে বঁাধলে নষ্ট হয়ে যায়৷ তাই তাদের নামমাত্র তেল দিয়ে ভাপে সেদ্ধ করে সড়সড়ি রেঁধে খাওয়াই ভাল৷ সড়সড়ি আর চচ্চড়ি এক জিনিস নয়৷ চচ্চড়ি গরম জলে সেদ্ধ হয়৷ সড়সড়ি হয় ভাপে৷ চচ্চড়িতে যত তেল ঢালবে, তত সোয়াদ ৰাড়বে৷ সড়সড়িতে নামমাত্র তেল ছিটিয়ে দিতে হয়৷ সড়সড়িতে গোড়ার দিকে অল্প পরিমাণে গোটা সরষে সামান্য তাতিয়ে নিয়ে ঢেলে দিলে সোয়াদ একটু ৰাড়ে৷