আনন্দমার্গের উদার ও সর্বজনীন সর্বাত্মক জীবনাদর্শ, শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর অভ্রান্ত নেতৃত্ব, এই জীবনদর্শনকে বাস্তবায়িত করার জন্যে একদল সুশৃঙ্খল ত্যাগী স্বেচ্ছাসেবক আজকের কায়েমী স্বার্থান্বেষীদের প্রতিক্রিয়াশীলদের কাছে বিপজ্জনক৷ তাই পাপচক্রীরা, মানবতার শত্রুরা মার্গের প্রতি মার্গের কর্মী ও অনুরাগীদের প্রতি অত্যাচার করেছে ও করে চলেছে৷ এরই উদাহরণ ডামরুঘুটু নিবাসী রাঁধু সোরেন৷ যিনি তথাকথিত সাঁওতাল সমাজকে কুসংস্কারমুক্ত নৈতিক ও আদর্শ ভিত্তিক তথা বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিলেন৷ কিন্তু স্বার্থান্বেষী, দুষ্ট প্রকৃতি ও বিকৃতি মানসিকতা সম্পন্ন লোকেরা ১৯৯৫ সালে ৫ই এপ্রিল কোটশিলা থেকে নিজ গ্রামে ফিরার পথে রাস্তায় দিনের বেলায় কুপিয়ে হত্যা করে৷ সেই থেকে ডামরুঘুটু গ্রামবাসীরা ৫ই এপ্রিল এই দিনটিকে রাঁধু সোরেন স্মৃতি দিবস রূপে পালন করে আসছেন৷
এই উপলক্ষ্যে রাঁধু স্মৃতি ভবনে, তিনঘন্টা অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন, মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্পন, স্মৃতিচারণা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷