প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত এক আলোচনায় বলেন ---ভ্রান্ত অর্থনীতির প্রভাবে, পুঁজিপতি শোষণে ও রাজনৈতিক দুরাশায় দেশ আজ চরম সংকটে৷ পুঁজিপতি শোষণ আজ চরমসীমায় পৌঁছেছে৷ মূল্যবোধ ও মানবিকতাকে পদদলিত করে করোনা কালেও হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা লুটেছে যখন সাধারণ মানুষ লক্ডাউনের কবলে পড়ে কর্মহীন হয়ে অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছে৷ আজ অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রবল আকার ধারণ করেছে৷ সমাজের সর্বক্ষেত্রে তার কুপ্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ পুঁজিপতি শোষকের আজ্ঞাবহ শাসক কৃষি প্রধান ভারতে কৃষি নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার কোন চেষ্টাই করেনে৷ কর্ষকরা কখনও অধিক উৎপাদন কখনও খরা-বন্যার কবলে পড়ে উৎপাদনের মন্দার কারণে সমস্যায় ভুগছে৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও সর্বশ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণে কোন বলিষ্ঠ অর্থনীতি গড়ে তোলা হয় না অথচ সরকার অমৃত মহোৎসব মাতছে৷
আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন অর্থনৈতিক দুরাবস্থার পাশাপাশি শাসকদলের রাজনৈতিক দুরাশা সামাজিক বিভাজন তৈরী করছে৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে৷ রাজনৈতিক নেতাদের সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা ও অসংযত মন্তব্য বর্হিভারতেও ভারতকে হেয় করছে৷ আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন এই সংকট থেকে মানুষকে ত্রাণ দিতে পারে একমাত্র প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব যা প্রাউট বলে পরিচিত৷ আজকের এই সংকটের কারণ ব্যষ্টিস্বার্থ কেন্দ্রীক ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও ব্যষ্টি বর্জিত কম্যুনিজমের অলীক সাম্যবাদ৷ প্রাউট ধনতন্ত্র ও কম্যুনিজমের ত্রুটিগুলি গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত ব্যষ্টি ও সমষ্টির সমন্বয়ে একটি সামাজিক অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার পথ দেখিয়েছে যার বাস্তবায়নে বৈশ্যযুগের পরিসমাপ্তি ঘটাবে ও আর্ত পীড়িত মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন আনবে৷ পাশাপাশি সামাজিক বিভাজন, সাম্প্রদায়িক সংঘাত সবরকম শোষন ও কলুষতা থেকে সমাজকে মুক্ত করবে৷ তাই প্রাউটকে বলা যায় সর্বরোগের মকরধবজ৷
আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বিশ্বের সৎ-শুভবুদ্ধি সম্পন্ন প্রতিটি নীতিবাদী মানুষকে আহ্বান জানিয়ে বলেন আসুন সম্পূর্ণ শোষণমুক্ত কলুষমুক্ত এক অবিভাজ্য মানব সমাজ গড়তে প্রাউটের বাস্তবায়নের জন্যে এক সর্বাত্মক বিপ্লব সংঘটিত করি৷