মাত্র কয়েক মাস আগে অবসর নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ৷ প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন তিনি বলেছিলেন ---অবসরের পর সরকারি পদের নিয়োগ বিচারবিভাগের স্বাধীনতার গায়ে এক ক্ষত৷ রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য হয়ে তিনি নিজেই সেই ক্ষত সৃষ্টি করলেন৷
এরফলে প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন শ্রী গগৈয়ের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ণ উঠল৷ বিরোধী শিবিরের আইনজীবীদের মতে, গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কফিনে শেষ পেরেকটি পঁুতে দিল মোদি সরকার৷
রামমন্দির মামলা, এন.আর.সি ও রাফাল-কেসের রায় গগৈ-এর আমলেই বেরিয়েছে৷ প্রতিটি রায় কেন্দ্রীয় শাসকদলের পক্ষেই গেছে৷ স্বাভাবিকভাবে বিরোধীেেদর দিক থেকে অভিযোগ উঠছে রাফাল কেসে মোদিকে ক্লিন চিট দেওয়ার পুরস্কার পেলেন রঞ্জন গগৈ৷
সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি দুষ্মন্ত দাভের বলেন--- ‘‘খুবই নক্কারজনক কাজ৷ সরকারকে সুবিধা দেওয়ার পুরস্কার পেল রঞ্জন গগৈ৷ বিচারবিভাগের স্বাধীনতার যেটুকু আবরণ ছিল তাও নগ্ণ হয়ে পড়ল৷ দিল্লীর দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে এস.মুরলীধরের রায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় রাতারাতি বদলী করা হয়েছিল মুরলীধরকে৷ এবার রাফাল-কেসে, রামমন্দির মামলার রায়, কেন্দ্রীয় শাসকদলের পক্ষে যাওয়ার পরে অবসর নেওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভায় মনোনীত করে বিজেপি তার গণতন্ত্রের স্বরূপ চিনিয়ে দিল৷ এর আগে অমিত শাহের বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষের মামলার এফ.আই.আর খারিজ করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি পি.সদাশিবম্৷ তিনিও অবসর নেওয়ার পর কেরলের রাজ্যপাল নিয়োজিত হন৷