আমরা বাঙালী সংঘটন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে রাজ্যের সরকারী বেসরকারী কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবীতে৷ অবশেষে রাজ্য সরকারের একটি সিদ্ধান্তে ‘আমরা বাঙালী’র দাবী মান্যতা পেল৷ এখন থেকে বাঙলার পিএসসি, ডব্লু বিসিএস থেকে ক্লার্কশিপ সমস্ত পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হলো, এমনকি যে সকল অফিসার বাংলা ভাষা জানেন না, তাদের ক্ষেত্রেও বাংলা ভাষায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলো৷ রাজ্য প্রশাসনে কর্মরত আইএএস-আইপিএস প্রভৃতি সর্বভারতীয় ক্যাডারের আধিকারিকদের জন্য বাংলা পরীক্ষায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)৷ পিএসসি সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে পরীক্ষায় বসবেন আধিকারিকরা৷ পিএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আগেই জারি করেছিল৷ তাতে নিয়মাবলী জানিয়ে দেওয়া হয়৷ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ,ক্লিপ বোর্ড, ব্যাগ, মোবাইল ফোন,স্মার্ট ওয়াচ, ই-বুক সহ যে কোনও ধরনের ইলেকট্রনিকবস্ত নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা যাবেনা৷নিয়ম অমান্য করলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সর্বভারতীয় ক্যাডারের আধিকারিকরা যে রাজ্যে স্থানীয় সরকারের অধীনে কাজ করেন সেখানকার ভাষাতাঁর মাতৃভাষা না হলেও চাকরি করতে করতে তাশিখে নেওয়ারনিয়ম৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই ভাষার পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে তাঁর বেতনবৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়৷ পিএসসি করে দু’বার আধিকারিকদের বাংলার পরীক্ষা নেয়৷ পিএসসি নভেম্বর মাসে এই বাংলা মাতৃভাষা নয় এমন যে সর্বভারতীয় ক্যাডারের আধিকারিকরা গত পাঁচ বছরের মধ্যে রাজ্য প্রশাসনে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন৷ মোট ১০০ নম্বরের তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা৷বাংলা পরীক্ষায় অনুবাদ, প্রবন্ধ রচনা, চিঠি ওসার সংক্ষেপ লেখা প্রভৃতি থাকে৷ ’’লিখিতপরীক্ষারপাশপ্ ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষাও দিতে হয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, আঞ্চলিক ভাষার পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেলে এক হাজার টাকা পুরস্কার পান আধিকারিকরা৷ রাজ্য সরকার ওই পুরস্কার দেয়৷ রাজ্য সরকারের ডববিসিএস থেকে ক্লার্কশিপ প্রভৃতি বিভিন্নচাকরির জন্য পিএসসি আয়োজিত পরীক্ষায় যীরা বসেন তাঁদের ক্ষেত্রে বাংলাজানা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ বাংলা মাতৃভাষা নয় এমনসবসফল প্রার্থীকে নেপালি ভাষাভাবি ছাড়া) হয়৷ওইপরীক্ষাপিএসসিনিয়ে থাকে৷গতবারের ক্লার্কশিপ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে সফল হয়েও কয়েকজন শেষ পর্সবাদ পড়েন বাংলা বিশেষ পরীক্ষায় পাশ করতে না পারার জন্য৷ রাজ্য সরকারি কর্মচারি সংগঠনের প্রবীণ নেতা মনোজ চক্রবর্তীজানিয়েছেন, ’বাংলা জানাবাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা প্রশাসনিক কাজে বাংলার ব্যবহার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়৷’’ অনেক বছরআগে প্রশাসনিককাজে বাংলা ব্যবহার করার নির্দেশিকা জারিহলেও তা এখনও সেভাবে কার্যকরহয়নিবলেতীর্ অভিযোগ৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়