ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স---বাঙলায় বিজ্ঞান গবেষণার জন্য ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকার তৈরী করেছিলেন এই প্রতিষ্ঠানটি৷ বর্তমানে এই বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন৷ এখানে শিক্ষাকর্মীদের ৯০ শতাংশ বাঙালী৷
সম্প্রতি কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের রেজিস্টার পূর্বাশা বন্দোপাধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান প্রতিষ্ঠানের চিঠিপত্রসহ নানা কাজে হিন্দী ব্যবহার করতে হবে৷ নোট, সার্ভিস বুক, ফাইল স্বাক্ষর সবকিছু হিন্দীতে লিখতে হবে৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারী ভাষাদপ্তর খতিয়ে দেখেছে প্রতিষ্ঠানটিতে আশানুরূপ হিন্দীর ব্যবহার হচ্ছে না৷
রাজ্য নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলা প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তখন পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক হিন্দী অনুপ্রবেশের এই চক্রান্ত কেন? কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন জোরপূর্বক হিন্দী চাপানোর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল৷ বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় হিন্দী চাপানোর নির্দেশকে ভাষা সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেন৷ প্রাক্তন সাংসদ নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ভাইপো সুগত বসু বলেন---এই নির্দেশ বিজ্ঞানচর্র্চয় অন্তরায় ও বাংলার পক্ষে অমর্যাদার৷ হিন্দী হিন্দু হিন্দুস্তানের চাপিয়ে দেওয়া এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান উচিত৷