রাজ্যে খুন হত্যা অস্থিরতা বাঙালী বিনাশের সুগভীর ষড়যন্ত্র

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে বগটুই-এর ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়৷ দলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব শ্রী জয়ন্ত দাশ বলেন--- এই বর্বরতার নিন্দা করার ভাষা নেই৷ কিন্তু এটাকে নিছক পারিবারিক বা দলের অর্ন্তকলহ হিসেবে দেখলে হবে না৷ বাঙালী জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করার সুগভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে৷ শ্রী দাশ বলেন---নেহেরু থেকে মোদি কোন সরকারই বাঙালীর ভালো চায় না৷ উল্টে বাঙালী জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করার চক্রান্ত চলছে৷ আপাত দৃষ্টিতে রামপুর হাটের গণহত্যা আর পাঁচটা রাজনৈতিক খুনের মতই মনে হতে পারে৷ যে হত্যালীলা ষাটের দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গে কম্যুনিষ্টদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল৷ বর্ধমানের  সাঁইবাড়ীর গণহত্যা, আনন্দনগরে আনন্দমার্গের পাঁচজন সন্ন্যাসী হত্যা, মরিচঝাঁপি, বিজন সেতু....বগটুই৷ দু-একটা ছাড়া কোন ক্ষেত্রেই অপরাধীর কোন সাজা হয়নে৷ শ্রী দাশ বলেন---অপরাধীদের শাস্তির দাবী যারা তোলে -তারা ঘটনা যাদের হাত দিয়ে ঘটে কেবল তাদের শাস্তির কথা বলে৷ আসল অপরাধীরা---ঘটনা যারা ঘটায় তারা পর্র্দর আড়ালেই থেকে যায়৷ সিবিআই, সি আই ডি কোন তদন্তই প্রকৃত অপরাধীদের আদালতের কাঠগোড়ায় তুলতে পারে না৷

শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় গোটা দেশে খুন, ধর্ষন থেকে শুরু করে যতরকম নক্কারজনক ঘটনা ঘটছে, দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য আকাশ ছোঁয়া হচ্ছে-এসবের পিছনে আছে ফ্যাসিষ্ট শোষকের কালো হাত৷ শিক্ষা সংসৃকতির জগৎ এই কালোহাতের কুচক্রে পড়ে যুব সমাজকে বিপথগামী করছে৷ রাজনীতির দাদারাও এই বিপথগামী যুবকদের দিয়ে সমস্ত প্রকার অসামাজিক কাজ করিয়ে নেয় ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থপূরণ করতে৷ এইভাবে যুব সমাজকে বিপথে ঠেলে দিয়ে রাজনীতির মাতববর, শিল্প সাহিত্য জগতের কুশিলব আর আজকাল তো আই.পি.এল, আই.এস.এল-এর নামে ক্রীড়া জগৎ ও ওই ফ্যাসিষ্ট শোষকের কালো হাতের কব্জায় চলে গেছে৷ তাই সমাজকে পাপমুক্ত করতে হলে ওই কালো হাতে আঘাত হানতে হবে৷

সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে শ্রী দাশ বলেন সিবিআইএর নিরপেক্ষতাকে সুপ্রিম কোর্টই অনেকবার কটাক্ষ করেছে৷ রাজ্যসরকার যখন তদন্ত শুরু করেছে ঠিক তখনই সিবিআইকে ময়দানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ শ্রীদাসের প্রশ্ণ এসব ঘটনায় আজ পর্যন্ত সিবিআইএর সাফল্য কতটুকু? সিবি আই সি আইডি কোন তদন্তই প্রকৃত অপরাধীদের জনতার সামনে আনে না৷ বরং অনেক সময় আসল অপরাধীদের আড়াল করে যেখানে সিআইডির ওপর ও আস্থা রাখা যায় না, সেখানে সিবিআই-এর ওপরেই বা কিভাবে আস্থা রাখা যায়৷ সি আই ডি যদি রাজ্য শাসক দলের নির্দেশে চলে তো সিবি আই চলে কেন্দ্রীয় শাসক দলের নির্দেশে৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় শাসক দল অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে ২০০ আসন জিতে ক্ষমতার খোয়াব দেখেও নিরাশ হতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের কাছে৷ তাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মর্যাদা না দিয়ে প্রতিশোধমূলক রাজনীতির ধবজাধারীরা বার বার রাজ্য সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাইছে৷ সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা সিবিআইকে ভরসা করা যায় কি? সিবিআই, সি আইডির এই বিবাদ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করবে৷ শ্রী দাশ বলেন সিবিআই , সিআইডি যৌথ সিট গঠন করে তদন্ত করা৷ শ্রী দাশ রাজ্যের ছাত্রযুব সমাজকে এই আত্মঘাতী রাজনীতি ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনে নামার আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন বাঙালী জাতিসত্ত্বার অস্তিত্ব রক্ষা করার অন্যকোন পথ নেই৷