গত ৫ই মে রাণাঘাটের সাধুর বাগান এলাকায় ডা: নির্মল মিস্ত্রির বাসভবনের সামনে এক ধর্ম সম্মেলনের আয়োজন করা হয়৷ এই ধর্ম সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিমুরালি আনন্দমার্গ সুকলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দবিভূকণা আচর্যা, নবরায় নগরের আনন্দমার্গ সুকলের অধ্যক্ষা ব্রহ্মচারিনী জয়তি আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দর রসপ্রজ্ঞা আচর্যা, আনন্দ নবদ্বীপ মাষ্টার ইয়ুনিটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আচার্য জগদীশানন্দ অবস্থিত, তালদি আনন্দমার্গ মাষ্টার ইয়ুনিটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আচর্য জয়েশানন্দ অবধূত,আচার্য প্রদীপদেব, শ্রীমতী মনীষাদেব প্রমুখ৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে কয়েকটি প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়৷ এর পর সমধুর সুরে সবার্হ মিলিতভাবে ‘বাবা নাম কেবলম্’ কীর্ত্তন করেন৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত সাধনা, গুরুত্বপূর্ণ ও স্বাধায় হয়৷ তৎপরে তত্ত্বসভায় বক্তব্য রাখেন আচর্য সুপ্রভানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন মানব জীবনের লক্ষ্য ব্রহ্মসংপ্রাপ্তি৷ সাধনা ও সেবাই মানুষের জীবনকে সার্থক করে৷
তত্ত্বসভা শেষে এখানকার,স্থানীয় আনন্দমার্গীদের নিয়ে আনন্দমার্গের একটি নূতন ইউনিট করা হয়৷ এর ইউনিট সেক্রেটারী নির্র্বচিত হন রাণাঘাটে নিবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী সুধাংশু কুমার দাস মহাশয়৷ তাঁর নেতৃত্ত্বে আনন্দমার্গের স্থানীয় কমিটি তৈরী করা হয়৷ এই ইউনিট কমিটির সক্রিয় সদস্য হলেন ডা: নির্মল মিস্ত্ত্রি, শ্রী স্বপন বালা, শ্রী অবিনাশ তালুকদার প্রমুখ৷ মিলিত প্রসাদ গ্রহণের পর সবাই মিলে রাণাঘাটের সাটিগাছায় আনন্দমার্গের নিজস্ব আশ্রমে যান৷ সেখানেও প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনা অনুষ্ঠিত হয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷
এরপর সমস্ত আনন্দমার্গীয়রা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, শীঘ্রই এখানে আনন্দমার্গের একটি সুকল খোলা হবে ও সেজন্যে গৃহনির্র্মণের কাজ শুরু করা হবে৷ এই উদ্দেশ্যেকে সামনে রেখে স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে ব্যাপক জনসংযোগ করার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়৷