রাশিয়ায় বসে ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে ভারত-সহ প্রায় ৫০টি দেশে প্রতারণা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

রাশিয়ায় বসে ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে ভারত-সহ প্রায় ৫০টি দেশে প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগ উঠেছে৷ ওই ঘটনায় সোমবার ভুয়ো কল সেন্টার সংস্থার ১১ জন কর্মীকে আটক করেছে রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারাল সিকিউরিটি সারভিস (এফএসবি)৷ সব মিলিয়ে এক লাখের বেশি মানুষকে আর্থিক ভাবে প্রতারিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ প্রথমে, অতিরিক্ত মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিনিয়োগের টোপ দেওয়া হত৷ এক বার সেই ফাঁদে পা দিলেই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ৷ যার মাধ্যমে ভুয়ো কল সেন্টারগুলি এক এক দিনে প্রায় ১০ লাখ ডলার উপার্জন করত বলে দাবি করা হচ্ছে৷ সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গেছে, এই আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জর্জিয়ার এক প্রাক্তন মন্ত্রীরও যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করছে রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা৷

রাশিয়ার তদন্তকারী সংস্থা এফএসবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ভুয়ো কল সেন্টারগুলির সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরের এক সংগঠিত অপরাধ চক্র জড়িত রয়েছে৷ ভারত, ব্রিটেন, কানাডা, ব্রাজিল, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি-সহ আরও বেশ কিছু দেশের সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে এই জালিয়াতি চক্রের মাধ্যমে৷ রয়টার্স অনুসারে, এফএসবি আরও জানিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জর্জিয়ার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেভিড কেজেরাশভিলির যোগ রয়েছে৷ তিনি বর্তমানে লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বলে দাবি রাশিয়ান তদন্তকারী সংস্থার৷ রয়টার্সের তরফে জর্জিয়ার প্রাক্তন মন্ত্রীর এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এ বিষয়ে৷ তবে তিনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷

 চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ১২০ কোটি ৩০ লাখ টাকার ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ হয়েছে৷ এ ছাড়া ওই একই সময়ের মধ্যে লগ্ণির টোপ দিয়ে প্রতারণা হয়েছে ২২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার৷ বন্ধুত্বের অ্যাপ থেকে প্রতারণা হয়েছে ১৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার৷ পাশাপাশি শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সাইবার প্রতারণাতেও প্রচুর মানুষ টাকা খুইয়েছেন৷ ট্রেডিংয়ের টোপে ১৪২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে৷