রবীন্দ্র ভারতীতে মার্গ দর্শনের উপর আলোচনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

২ জুলাই ২০২৪ তারিখে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ বৈদিক স্টাডিজ দ্বারা ব্রহ্ম ও সৃষ্টির ধারণা শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদানের উপর একটি ি বশেষ বত্তৃণতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ প্রধান বক্তা ছিলেন আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সম্পাদক, আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বৈদিক স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. ভাস্কর নাথ ভট্টাচার্য৷ আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত ব্রহ্মর ধারণা ব্যাখ্যা করেছেন৷ তিনি বলেছিলেন যে ব্রহ্ম হল মহাজাগতিক চেতনা (শিব) এবং সক্রিয় নীতি (শক্তি) এর সম্মিলিত দেহ৷ তিনি আরও বলেন, শিব ও শক্তির সম্পর্ক কাগজের টুকরার মতো৷ এক টুকরো কাগজের দুটি দিক থাকে৷ যদিও তর্কের খাতিরে তারা দুটি, তবে একটি কাগজের ইউনিট থেকে তাদের আলাদা করা যায় না৷ কাগজের একটি দিক মুছে ফেলা অন্যটির অস্তিত্ব বিপন্ন করে৷ কীভাবে, মহাজাগতিক এককের মধ্যে পুরুষ (চেতনা) এবং প্রকৃতির (নির্বাহী নীতি) মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে৷ এগুলোর কোনোটিই অপরটিকে ছাড়া বাঁচতে পারে না৷ এই কারণেই বলা হয় যে তারা নীতিগতভাবে দ্বৈত, কিন্তু আত্মায় এক৷ আচার্য আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে ইউনিট কাঠামোর মধ্যে তিনটি বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া কাজ করে - শারীরিক সংঘাত থেকে উদ্ভূত শারীরিক শক্তি, মানসিক সংঘাত থেকে উদ্ভূত মানসিক শক্তি এবং মহানের আকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভূত আধ্যাত্মিক শক্তি৷ প্রো. বি.এন. ভট্টাচার্য তার সমাপনী বত্তৃণতায় অন্যান্য ভারতীয় দর্শনের সাথে ব্রহ্মার ধারণা তুলে ধরেন৷