রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে নোটবাতিলের বাগাড়ম্বর চুপসে গেল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বন্ধ হবে জাল নোটের কারবার, উদ্ধার হবে কালো টাকা, কমবে দুর্নীতি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দুবছর পার করেই ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেশবাসীকে আশার কথা শুনিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ দেশবাসীকে বলেছিলেন একবার লাইনে দাঁড়ালে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না৷ লাইনে দাঁড়িয়ে কত নোট বদল হয়েছে, কালোপথে কত নোট বদল হয়েছে তার কোন তথ্য আজও প্রকাশ হয়নে, তবে লাইনে দাঁড়িয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ কালোটাকার হদিশও পাওয়া যায়নে৷ জাল নোটের কারবারও বন্ধ হয়নে৷ বরং নোট বাতিলের পর জাল নোটের কারবার আরও বেড়েছে৷ গত ২৭শে মে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন নোট বাতিলের সুফল নিয়ে মোদির  বাগাড়ম্বর চুপসে দিয়েছে৷

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে প্রকাশ ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশে জাল নোটের কারবার বৃদ্ধি পেয়েছে৷ মিলেছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৭১টি জাল নোট৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জাল নোটের এই সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৮হাজার ৬২৫টি৷ যার মধ্যে ২০০০ টাকার  নোট ছিল ১৩ হাজার ৬০৪টি৷ ২০২০-২১ সালে নূতন ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে ৩৯হাজার ৪৫৩টি ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৭৯ হাজার ৬৬৯টি৷

দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই প্রতিবেদন প্রকাশ হতেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার৷ নোট বাতিলের উদ্দেশ্যে নিয়েও প্রশ্ণ উঠছে৷ সেদিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন নোট  বাতিলের ফলে দেশ থেকে জাল নোট  সমূলে উৎখাত হবে৷  এখন শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে প্রকাশ জাল নোটের  মূল আরও গভীরে গেছে, দেশে জাল নোটের কারবার আরও বিস্তার লাভ করেছে৷ এক তথ্যে প্রকাশ ব্যাঙ্কে পড়া ৫০০ ও ২০০০ টাকার  নোটের ৮৭.১ শতাংশই জাল৷