এই আগে রঞ্জিতে এই ঘটনা ঘটেনি৷ ১০ ও ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতরান করেছেন তাঁরা৷ মুম্বইয়ের তনুশ কোটিয়ান ও তুষার দেশপাণ্ডে যখন ব্যাট করতে নামেন তখন লড়াইয়ে ছিল বরোদা৷ কিন্তু যখন তাঁরা ইনিংস শেষে মাঠ ছাড়লেন তখন বরোদা খেলা থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে৷ কারণ, রঞ্জিতে রেকর্ড করেছেন মুম্বইয়ের দুই ব্যাটার৷
প্রথম ইনিংসে ৩৬ রানের লিড ছিল মুম্বইয়ের৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলের রান তখন ৯ উইকেটে ৩৩৭৷ অর্থাৎ, মোট লিড ৩৭৩৷ তখনও খেলায় ছিল বরোদা৷ তার পরে যা হল তার জন্য হয়তো মুম্বইও তৈরি ছিল না৷ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করলেন মুম্বইয়ের দুই বোলার৷ ২৩২ রানের জুটি বাঁধলেন তাঁরা৷ মুম্বইকে নিয়ে গেলেন ৫৬৯ রানে৷ বরোদার সামনে লক্ষ্য দাঁড়াল ৬০৬ রান৷ খেলা ড্র হল৷ প্রথম ইনিংসে লিডের সুবাদে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মুম্বই৷ ব্যাট করতে নেমে কখনওই উইকেটে পড়ে থাকার চেষ্টা করেননি তনুশ ও দেশপাণ্ডে৷ দ্রুত রান করতে থাকেন তাঁরা৷ বড় শট খেলেন৷ তুশার প্রথমে শতরান করেন৷ তার পরে তিন অঙ্কে পৌঁছন দেশপাণ্ডে৷ শেষ পর্যন্ত ১২৯ বলে ১২৩ রান করে আউট হন তিনি৷ ১০টি চার ও আটটি ছক্কা মারেন আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলা ক্রিকেটার৷ তনুশ ১২৯ বলে ১২০ রান করে অপরাজিত থাকেন৷ তিনি মারেন ১০টি চার ও চারটি ছক্কা৷
রঞ্জিতে না হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই ঘটনা আগে এক বার ঘটেছে৷ সেটাও করেছেন দুই ভারতীয়৷ ১৯৪৬ সালে ওভালে সারে বনাম ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে চাঁদু সারওয়াতে ও শুঁটে বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ ও ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতরান করেছিলেন৷ এ বার সেই তালিকায় নাম লেখালেন তনুশ ও দেশপাণ্ডে৷