রত্তাক্ত রাজধানী - মরছে মানুষ -  নির্বিকার প্রশাসন - যমুনার তটে হিংসার উৎসব

সংবাদদাতা
পত্রিকা প্রতিনিধি
সময়

  হিংসার আগুনে জ্বলছে দেশের রাজধানী শহর৷ এই লেখা পর্যন্ত হিংসার বলি ৩৭ জন৷ আহত ৩০০-র বেশী, তার মধ্যে অন্তত ৭০ জন গুলিবিদ্ধ৷ ৭২ ঘণ্টা পরেও হিংসার আগুন নেভেনি৷ আতঙ্কিত মানুষ দিল্লী ছেড়ে পালাচ্ছে৷ উত্তর-পূর্ব দিল্লীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কে, অনাহারে, অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছে৷ পুলিশ নীরব দর্শক৷ আগুণে বিধবস্ত যানবাহন, ঘরবাড়ী, দোকান, বাজার৷ দিল্লীর হাসপাতালগুলি আহত মানুষ ও   তাদের উৎকণ্ঠিত আত্মীয়দের ভীড়ে ঠাসা৷

হিংসার মাঝে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত৷ প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ উঠছে৷ বিরোধীদের দাবী প্রশাসন নির্বিকার থেকে হিংসায় সহায়তা করেছে৷ দিল্লী হাইকোর্টও পুলিশকে তীব্র ভৎর্সনা করে সাবধান করেছে---শিখ দাঙ্গার পরিণতি যেন না হয়৷ দিল্লী হাইকোর্ট আরো নির্দেশ দিয়েছে---উস্কানীমূলক বক্তব্য রাখার জন্য বিজেপির তিন নেতার বিরুদ্ধে এফ.আই.আর. করতে হবে৷ এই তিন নেতা হলেন কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর ও প্রবেশ ভার্মা৷ সুপ্রিম কোর্টও দিল্লী পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় কেউ প্ররোচনামূলক কথা বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ তার জন্য কারোর অনুমতি নিতে হবে না৷ বৃহস্পতিবার অপরাহ্ণ পর্যন্ত দিল্লী পুলিশ তিন নেতার বিরুদ্ধে কোন এফ.আই.আর করেনি৷

বিরোধীদর অভিযোগ শাসক দল বিজেপির মদতেই এই হিংসা চলছে৷ তাই পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে থাকছে৷ তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগও দাবী করেন৷